শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

টাইগারদের সিরিজ জয়

এবার হোয়াইটওয়াশের পালা

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে টাইগাররা। ব্যাটিংস্বর্গ হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফররত দলকে হেসেখেলে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এটা নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টানা আটবার সিরিজ জয়ের সাফল্য দেখাল টাইগাররা। ৩৫ বল হাতে রেখেই তারা পা দেয় বিজয়ের উচ্চ শিখরে। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালবিহীন টাইগার বাহিনী কীভাবে প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করবে তা নিয়ে সংশয়ে ছিল মাশরাফি বাহিনীর ভক্ত-অনুরক্তরা। কিন্তু ওপেনিংয়ে পরপর দুই খেলায় ইমরুল কায়েসের ১৪৪ ও ৯০ রানের দাপট দেখানো ব্যাটিং এবং বুধবার সিরিজ জয়ের ম্যাচে লিটন দাসের লড়াকু ৮৩ রান সে সংশয় কাটিয়ে উঠতে অবদান রেখেছে। অলরাউন্ডার হিসেবে সাইফুদ্দিনের উত্থান টাইগার সমর্থকদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। দলের নাজুক অবস্থায় মিরপুরের প্রথম ম্যাচে তিনি যেমন অর্ধশতক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তেমন সিরিজ জয়ের খেলায় ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার তকমা পেয়েছেন। টাইগাররা যে ক্রমে খেলোয়াড়বিশেষের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারছে, এটি একটি সুসংবাদ। সিনিয়রদের পাশাপাশি জুনিয়রদের উত্থান টাইগারদের টেকসই অগ্রগতিই নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপের আগে অগ্রগতির এ ধারা ধরে রাখতে দৃঢ়প্রত্যয়ী হতে হবে মাশরাফি বাহিনীকে। সন্দেহ নেই, একসময় জিম্বাবুয়ের পরিচিতি ছিল দাপুটে দল হিসেবে। বাংলাদেশ তাদের কাছে টানা ১০ ম্যাচে পরাজয়ের লজ্জা পেয়েছে। তবে তার পর থেকে জিম্বাবুয়ের চাকা ঘুরছে বিপরীত দিকে। বাংলাদেশ যেখানে দ্রুত এগোচ্ছে সেখানে পিছিয়ে পড়ছে আফ্রিকান দলটি। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে এ মুহূর্তে জিম্বাবুয়ে বড় প্রতিপক্ষ না হলেও সিরিজ জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে। ওয়ান ডে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছে তারা। সিরিজ জয়ে টাইগারদের আমরা অভিনন্দন জানাই। আশা করতে চাই শেষ খেলায় জয়ী হয়ে অপরাজিত সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে মাশরাফি বাহিনী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর