শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনী তফসিল

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবার কাম্য

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে। নির্বাচনে অল্প কিছু এলাকায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিক থেকে নভেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে, এমনটিই কাক্সিক্ষত ছিল। তবে নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ছাড়াই তফসিল ঘোষণায় সিইসিকে কিছুটা হলেও বিব্রত মনে হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের মতবিরোধ রাজনৈতিকভাবে মীমাংসা করে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও তা না মানায় হতাশা ব্যক্ত করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সম্পন্ন হলেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ায় হতাশা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ও লেভেল প্লে­য়িং ফিল্ড নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো দলই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেনি। তবে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর যেসব দাবির ন্যায্যতা রয়েছে নির্বাচন কমিশন সে ব্যাপারে উদারতা দেখাবে, এমনটিই প্রত্যাশিত। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির স্বার্থে অবাধে নির্বাচনী তৎপরতা চালানোর সুযোগ সৃষ্টিরও উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলাও জরুরি। নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনসংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এমনটিই দেখতে চায় দেশের ১৬ কোটি মানুষ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর