শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইলেকট্রিক ট্রেন প্রকল্প

নারায়ণগঞ্জে স্বস্তি বয়ে আনবে

নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ইলেকট্রিক ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সরকারের অংশীদারিত্বে পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জের সংশ্লি­ষ্ট রুটে যাত্রীরা ইলেকট্রিক ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। এ ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভায় পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ ট্রেন চলবে দুটি রুটে। একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাঢ়া হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এবং অন্যটি চট্টগ্রাম রোড থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ। দুই লাইনের ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন হবে চাষাঢ়ায়। এ প্রকল্পের জন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর যৌথভাবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে, এরপর ব্যয়ের বিষয়টি ঠিক করা হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ইলেকট্রিক ট্রেন লাইন চলা শুরু হলে যানজট যেমন কমবে, যাত্রীরা তেমন স্বস্তিদায়কভাবে স্বল্প সময়ে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর দুই দেশের সরকার মিলে এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি যেহেতু বাস্তবায়ন হবে সেহেতু সরকারের ওপর এটি বড় ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে না। নারায়ণগঞ্জ দেশের অন্যতম ঘনবসতির নগর। রাজধানীর লাগোয়া এ মহানগরকে ঢাকা মহানগরীর বর্ধিষ্ণু অংশ হিসেবেই ভাবা হয়। রাজধানী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যেমন নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করে তেমন নারায়ণগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ রাজধানীতে আসে যায়। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ইলেকট্রিক ট্রেন রাজধানী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যায় কিনা তা গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা উচিত। নারায়ণগঞ্জে ইলেকট্রিক ট্রেন বাস্তবায়ন হলে এবং তা লাভজনক বলে বিবেচিত হলে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরেও এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়ার দ্বার খুলে যাবে। মুখ থুবড়ে পড়া রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও তাতে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে।

সর্বশেষ খবর