শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অর্থনৈতিক কূটনীতি

দেশের জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার রাজনৈতিক কূটনীতির চেয়েও অর্থনৈতিক কূটনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একসময় আমাদের কূটনীতিটা ছিল রাজনৈতিক। এখন অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো ব্লেইজ ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অ্যাম্বাসাডর ও হাইকমিশনার যারা, তাদের দায়িত্ব থাকবে যিনি যে দেশেই থাকুন, সেই দেশে আমাদের কোন পণ্যটা যেতে পারে, কোন পণ্যটার মার্কেট আছে তা খুঁজে বের করা, আলাপ-আলোচনা করা। কী ধরনের বিনিয়োগ বিদেশ থেকে আসতে পারে তা খুঁজে বের করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক কূটনীতি সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তাৎপর্যের দাবিদার। একসময় বাংলাদেশ ছিল বিদেশি সাহায্যনির্ভর ও ধনী দেশগুলোর দয়ার ওপর নির্ভরশীল। সে অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। দ্রুত শিল্পায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। ভিক্ষার হাত কর্মের হাতে পরিণত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক কূটনীতির বদলে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর সংগত কারণেই জোর দিচ্ছে। দেশি পণ্যের নতুন নতুন বাজার খোঁজার জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দুনিয়ার যেসব দেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এগিয়ে অর্থনৈতিক কূটনীতি তাদের সে সাফল্যের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ এখন পোশাকশিল্পে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। চামড়াশিল্পে বাংলাদেশের স্থান প্রথম কাতারে। দুটি ক্ষেত্রেই নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সফল হলে রপ্তানি আয় অন্ততপক্ষে দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। তবে তা সম্ভব হবে তখনই যখন সরকারের নীতিগত অবস্থান বাস্তবায়নে দেশের কূটনীতিকরা তৎপর হবেন। দেশে বিদেশি বিনিয়োগের যে সুবর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে তা বাস্তবে পরিণত করতে হলেও অর্থনৈতিক কূটনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর