রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

সন্ত্রাসী সামাল দিতে হবে

নির্বাচন সামনে রেখে শুরু হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। নির্বাচনকালে সন্ত্রাস যাতে কোনোভাবে মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আজ বিশেষ অভিযান শুরু হবে এবং তাতে সন্ত্রাসী, মাদককারবারি, অস্ত্রকারবারিসহ এ ধরনের অপরাধীদের পাকড়াও করা হবে। অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রেরও যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতিমধ্যে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্র্থীদের কেউ কেউ নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত রাখতে অস্ত্রধারী পেশাদার সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে এবং এটি একটি ওপেন সিক্রেট। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের বিপক্ষে ব্যবহার হয় অস্ত্র-বিস্ফোরক। এ সময় পেশাদার সন্ত্রাসীদের ভাড়া করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন অসৎ প্রার্থীরা। হাতবদল হয় অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও পেশাদার সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে এ ধরনের খবরও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। নির্বাচনে ব্যবহার হতে পারে এমন কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র ব্যবসায়ীকে নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গোয়েন্দাসূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু রাজধানীতে তিন শতাধিক অবৈধ অস্ত্রধারী আছেন। এসব অস্ত্রধারী অস্ত্র বেচাকেনার পাশাপাশি সারা দেশে চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্র ভাড়াও দেন। নির্বাচন এলে ভাড়ায় অস্ত্র নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন দেশের বিভিন্ন এলাকার দলীয় ক্যাডাররা। নির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। যে কারণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে তা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের সামাল দেওয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

সর্বশেষ খবর