সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধ

টাইগারদের উষ্ণ অভিনন্দন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টে ৬৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ১১১ নম্বর টেস্টে অর্জিত হয়েছে ১২ নম্বর জয়। মাত্র আড়াই দিনেই এক সময়কার বাঘা দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে সক্ষম হয়েছে সাকিব বাহিনী। এই জয়ের মাধ্যমে সফররতদের বিরুদ্ধে তারা টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে মাঠে নেমেই সাকিব আল হাসান দেশের জন্য ছিনিয়ে এনেছেন বহু কাক্সিক্ষত জয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দৃষ্টিকাড়া উন্নতি করলেও টেস্টে অবস্থান এখনো দুর্বল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেস্টে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল সাকিবের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে। টাইগাররা ক্যারিবিয়ানদের হারিয়েছিল তাদেরই মাটিতে। এরপর পেরিয়ে গেছে অনেক বছর! মধ্যখানে কেবল টাইগাররা একটা টেস্ট ড্র করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই। ২০১১ সালের পর কেবল পরাজয়ই টাইগারদের সঙ্গী ছিল। শনিবার আড়াই দিনে ৬৪ রানে ম্যাচ জিতে অতীতের সব দুঃখ মোচন করে নিয়েছে টাইগাররা। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ক্যারিবীয়দের ইনিংস শেষ হয় ১৩৯ রানে। বাংলাদেশ তৃতীয় ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ক্যারিবীয়দের একের পর এক উইকেট পড়লেও নবম উইকেটে ওয়ারিকান ও অ্যামব্রিসের ৬৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে আশঙ্কার মধ্যে ফেলে। মিরাজের ছুড়ে দেওয়া বলে ক্যাচ উঠলে সাকিব দুবারের চেষ্টায় তালুবন্দী করে সে আশঙ্কার অবসান ঘটান। চট্টগ্রামের ঘাতক উইকেটের প্রতি বর্গইঞ্চিতে ছড়ানো ছিল অসংখ্য ফাঁদ। অসাবধান হলেই আটকে পড়ে উইকেট হারানোর ভয়! বাংলাদেশ এই ভয় জয় করলেও ফাঁদে পা দিয়ে জীবন দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। কেউ কেউ তো ফাঁদে পড়ার বিষয়টা বুঝে উঠার আগেই সাজঘরে ফেরার টিকিট কিনেছে। চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের পাশাপাশি টাইগারদের ব্যক্তিগত অর্জনও বেশ বড়। সাকিব আল হাসান দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই টেস্টে। টেস্টে খেলতে নেমেই প্রথম ইনিংসে নাঈমের ৫ উইকেট লাভ ছিল বিরাট অর্জন। চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের জন্য টাইগারদের উষ্ণ অভিনন্দন। মিরপুর টেস্টেও জয়ের ধারাবাহিকতা থাকবে এ শুভ কামনা আমাদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর