বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীর গ্যাস সংকট

এ ভোগান্তি অবসানে উদ্যোগ নিন

রাজধানীতে ভয়াবহ গ্যাস সংকট চলছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রান্নার চুলায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাসের অভাবে সকালে নাশতা করা দায় হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাওয়ার আগে তাদের নাশতা জোগাড় করতে গৃহকর্ত্রীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাজধানীসহ সারা দেশে যে গ্যাস সংকট চলছে তার প্রধান কারণ দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে যে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। গ্যাসের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে তরলায়িত প্রাকৃ-তিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হলেও সঞ্চালন পাইপলাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সে গ্যাস সরবরাহে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে সংকট। তবে আশার কথা, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে এলএনজি সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। সোমবার এ সঞ্চালন লাইনের প্রি-কমিশনিং কাজ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে পাইপলাইনে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় ঢাকায় দৈনিক ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রামের কলকারখানায় এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ায় সাশ্রয়কৃত প্রাকৃতিক গ্যাসও ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। এর ফলে ঢাকায় যে গ্যাস সংকট চলছে তার অনেকটাই দূর হবে বলে আশা হচ্ছে। শীত মৌসুমে এমনিতেই বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের ব্যবহার বাড়ে। এ বছর রাজধানীতে গ্যাস সংকট এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে, গত কয়েক দিন অনেকেই হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল রাজধানীতে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এলএনজি পৌঁছানোর কথা থাকলেও রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা ছিল সকালের দিকে গ্যাসশূন্য। নির্বাচনের আগে রাজধানীসহ সারা দেশে গ্যাস সংকট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কলকারখানার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে এ সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা চলছে সরকারের তরফে। বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় এলএনজি আমদানির পাশাপাশি সাগরপ্রান্তে গ্যাস অনুসন্ধানে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এলএনজি আমদানি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে যে চাপ সৃষ্টি করছে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর