বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রিকশাচালক থেকে কোটিপতি

মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর হোন

মাদক আগ্রাসন দেশের হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিলেও তা হাতে গোনা কিছু মানুষের ভাগ্য গড়েছে একইসঙ্গে। মাদক ব্যবসা নামের আলাদিনের চেরাগের বদৌলতে মাত্র সাত বছর আগেও কক্সবাজারের টেকনাফে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন যে নুরুল হক ভুট্টো তিনি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিন এনে দিন খাওয়ার জীবন ভুট্টোর ভালো লাগছিল না। তাই জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। এ ব্যবসায় সঙ্গী করে নেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ভুট্টো বনে যান কোটিপতি। শুধু কক্সবাজারের ভুট্টোই নন, মাদক নামের আলাদিনের চেরাগে ভাগ্য ফিরেছে আরও অনেকের। ২০০৯ সালে শূন্য হাতে ঢাকায় এসেছিলেন গোলাম ফারুক দম্পতি। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে এ দম্পতি একটি বড় কোম্পানির মালিক। ঢাকার অদূরে গাজীপুরে রয়েছে বাড়ি-গাড়ি। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী এই দম্পতিসহ ৩৪ জনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে; যা শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হবে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার একটি মাদক মামলার সূত্র ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই, বাবা, ভাগ্নে, বিকাশ এজেন্টসহ ১৭ জনের নামে একই বছরের আগস্টে টেকনাফ থানায় মানি লন্ডারিং মামলা হয়। ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাকার বাড্ডা থেকে মাদকের গডফাদার ও অস্ত্র ব্যবসার ডিলার গোলাম ফারুক এবং তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ওরফে অ্যানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এটি অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। আমাদের বিশ্বাস, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আরও কঠোর হবে। তাদের নখর ভাঙতে যা যা করা দরকার সবকিছু করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর