রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি

অর্থনীতির জন্যও সুখবর

বাংলাদেশকে একসময় বলা হতো ক্ষুধার দেশ দুর্ভিক্ষের দেশ। সেই শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় যখন ৮ মণ চাল পাওয়া যেত তখনো এ দেশে দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গায় মানুষ প্রাণ হারাত। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলেও এ দুর্ভাগ্য ছিল নিত্যসঙ্গী। এমনকি স্বাধীনতার পর প্রথম তিন যুগ কেটেছে একই দুর্ভাগ্যের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার সংগ্রাম শুরু হয়। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হয় শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম পাঁচ বছরে। তারপর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদনে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় দুর্ভাগ্যজনকভাবে। ২০০৯ সালে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পয়মন্ত হাত দেশকে খাদ্যের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মিশনে সক্রিয় হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী চলতি সালে দেশে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৮ সালে গম উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার টন, ভুট্টা ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার টন, আলু ১ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার টন, ডাল ১০ লাখ ৩১ হাজার টন, তেলবীজ ৯ লাখ ৭০ হাজার টন ও শাকসবজি উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৪ হাজার টন। ফসলের উৎপাদনশীলতার ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার টন। উৎপাদিত হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টন। আর এতে দানাদার খাদ্যেও দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৬ সালে দেশে দানাদার খাদ্যের উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৩ হাজার টন। খাদ্য উৎপাদন সন্তোষজনক হারে বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশের জন্য সুখবর। খাদ্য নিরাপত্তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে কোনো কারণে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতেও তা মদদ জোগায়। খাদ্য আমদানিতে ব্যয় হয় বাজেটের এক বড় অংশ; যা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর