রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিজয়ের এই মাসে সতর্ক থাকতে হবে

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

বিজয়ের এই মাসে সতর্ক থাকতে হবে

ডিসেম্বর মাস উপমহাদেশের পক্ষে একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য মাস, ৪৮ বছর আগে এদিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বাংলা অর্থাৎ বাঙালিদের জন্য পৃথক দেশ জম্ম  দিয়েছিল। ওই বছরই ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ১৩ দিনের যুদ্ধে যে দেশটির জম্ম  হয়েছিল সেই দেশটি এবারের ডিসেম্বরে আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ মাসের ৩০ তারিখেই সে দেশের অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭১-এর ৭ মার্চ ঢাকার এক বিশাল জনসভায় তার সাড়ে ১৭ মিনিট বক্তৃতায় কার্যত ‘স্বাধীনতা’র ইঙ্গিত করেছিলেন। আর ২৬ মার্চ তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন আর সেদিন রাতেই তাকে গ্রেফতার করে             পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে তার চারজন সহযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আর সে দেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পাকিস্তান বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের নিয়োগ করে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছিল। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার  মেহেরকুঞ্জে বাংলাদেশের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ অর্থাৎ নতুন বাংলাদেশ সরকারের জম্ম  ১৭ এপ্রিলেই।

এরপরের ৯ মাসের ঘটনা এক লম্বা ইতিহাস। নিপীড়িত-নির্যাতিত কোটির অধিক মানুষ এপার বাংলায় এসে আশ্রয় নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিবিরে এদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল এবং খাদ্য ও ওষুধের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ব্যবস্থাপনায়। এই ৯ মাসে আমরা দেখেছি কী অদম্য সাহসের সঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করা। দখলদার বাহিনীর নেতৃত্বে ইয়াহিয়া, ভুট্টো, নিয়াজিরা হিটলারের নাৎসি বাহিনীর থেকেও একধাপ এগিয়ে অত্যাচারের সীমা তারা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেদিন ৩ ডিসেম্বর ইন্দিরা গান্ধী কলকাতার ব্রিগেডে বিশাল জনসভা করলেন। আমরা কয়েকজন রিপোর্টার জনসভা শেষ হওয়ার আগেই জনসভা ছেড়ে কলকাতার রাজভবনে ইন্দিরা গান্ধীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল একগুচ্ছ টেলেক্স বার্তা হাতে নিয়ে নির্মল সেনগুপ্ত। নির্মল বাবুকে দেখে ইন্দিরা গান্ধী দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। নির্মল বাবু একের পর এক বার্তা পড়তে লাগলেন। এক একটি বার্তায় বলা হয়েছিল, পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করেছে। তিনি জায়গাগুলোর নাম বলে  গেলেন জম্মু, কাশ্মীর, শ্রীনগর, আগ্রা, চণ্ডীগড়, পাঠানকোট ইত্যাদি বহু জায়গায়। ইন্দিরা গান্ধী তখন ওয়াশরুমে যাচ্ছিলেন, বার্তাগুলো শোনার পর তিনি ওয়াশরুমে না গিয়ে পাশে দাঁড়ানো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়কে বললেন, আমি বিমানবন্দরে যাচ্ছি, তুমি আমার সঙ্গে এসো। আমরা সেখানে চার সাংবাদিক ছিলাম। তখন টেলিভিশন ছিল না। বিমানবন্দরে পৌঁছে হন হন করে বিমানবন্দরের সিঁড়িতে পা দিতেই আমি পেছন থেকে বললাম, ম্যাডাম পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করেছে আপনি কিছু বলবেন, ইন্দিরা গান্ধী মুখ ফিরিয়ে হাত জোড় করে আমাকে বললেন তুমি আমাকে তিন ঘণ্টা সময় দাও। আমি দিল্লিতে পৌঁছে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেডিওতে দেশবাসীকে সব জানাব। তোমরা আমার সেই বার্তার জন্য অপেক্ষা কর। সেদিনের বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন,             পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আমার সৈন্যবাহিনী তৈরি, দেশবাসীও প্রস্তুত। নতুন বাংলাদেশের জম্ম  হতে আর বেশি দেরি নেই। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে গেলাম হিন্দুস্তান হোটেলে। সেখানে গিয়ে দেখি ইন্দিরা গান্ধীর নীতিনির্ধারক কমিটির চেয়ারম্যান ডিপিওর পূর্বাঞ্চলের জিওসি এনসি জগজিৎ সিং অরোরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চার-পাঁচ  অফিসার। আমাকে দেখতে পেয়ে মুখে আঙ্গুল দিয়ে কথা না বলতে অনুরোধ করলেন কামারুজ্জামান সাহেব। ডিপিওর আমাকে বললেন, তুমি গত ৯ মাস ধরে বিভিন্ন সময় পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে গিয়েছ। তুমি আমাদের বল তুমি কী দেখেছ। আমি বললাম, আমি কী জানি, তবে আমি যেখানেই গেছি দেখেছি নিপীড়িত মানুষের অত্যাচার। ওই বৈঠকে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন বাংলাদেশের একটি মানচিত্র দেখিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকাসহ কোথায় কোথায় অসামরিক জনগণের বাসস্থান, সেখানে যেন ভারতীয় সৈন্যরা গুলিবর্ষণ না করে। প্রথম দিনের যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, সাতক্ষীরাসহ  উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় পাকিস্তানি সৈন্যরা পরাজিত হয়েছে এবং ওই স্থানগুলো মুক্ত হয়ে গেছে। যুদ্ধ তখন চরম পর্যায়ে। ৫ ডিসেম্বর মুক্তাঞ্চলগুলোতে সামরিক বাহিনীর গাড়িতে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়। আমার মনে আছে চুয়াডাঙ্গাতে সামরিক বাহিনীর গাড়িতে ভারতের পতাকা দেখে গ্রামের হাজার হাজার লোক ছুটে এসে আমাদের ঘিরে ধরে। প্রশ্ন করে, ‘আমরা কি স্বাধীন হইছি, কবে হইব, নেহেরুর মাইয়া ইন্দিরা কি আমাগো দ্যাশ স্বাধীন কইর‌্যা দেওয়াচ্ছে।’ এসব তো বিশাল ইতিহাস। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজম্ম  তা জানে কি না তা জানি না। কারণ প্রায় ৫০ বছর আগের ঘটনা। ৮-৯ ডিসেম্বর খুলনা ডিভিশন প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত হয়। ১০ ডিসেম্বর যশোরে প্রথম জনসভা করলেন, অস্থায়ী সরকারের চার মন্ত্রী। বক্তৃতার মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এস কামারুজ্জামান বললেন, একটি ঘোষণা আছে। ঘোষণাটি হলো রাজশাহী পাবনা শত্র“মুক্ত হয়েছে। এখন যৌথবাহিনীর দখলে। তাজউদ্দীন সাহেব বললেন, যৌথবাহিনী আরও অগ্রসর হচ্ছে ঢাকার পথে। আমরা আর কয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকা দখল করতে পারব। এর আগে ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতির ঘোষণা করেছিলেন। তার এই ঘোষণায় গোটা বিশ্বে বার্তা চলে গেল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের সেই সব মানুষ যারা ৯ মাস ধরে অত্যাচারিত হয়েছে তাদের মাঝে উল্লাসের খবর আসতে লাগল। ১০ তারিখের পর ঢাকা দখলের জন্য যৌথবাহিনী প্রবলভাবে চাপ দিতে লাগল। এদিকে ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানিকশ’ হিন্দি, উর্দু, বাংলা, পাঞ্জাবি, গুরমুখী ভাষায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাকিস্তানি বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন ‘হে পাকিস্তান বাহিনী অত্যাচার বন্ধ কর, তোমরা কে কোথায় আছ তা আমরা জানি, নিকটবর্তী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ কর। তোমাদের সবরকম নিরাপত্তা দেব। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো না, রক্ষা পাবে না।’ কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল নিয়াজি, জেনারেল রাও ফরমান আলি এবং টিক্কা খান বেছে বেছে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যার কাজ শুরু করল। বুদ্ধিজীবী ও বাঙালিদের বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার যাবতীয় চেষ্টা শুরু করল। ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে তিনজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেনারেল ডোরা, জেনারেল সৌগত সিং, জেনারেল ভোলানাথ সরকার ঢাকায় গিয়ে নিয়াজির সঙ্গে দেখা করলেন। নিয়াজিকে বললেন, ঢাকা শহরের কিছু এলাকা ছাড়া গোটা বাংলাদেশ এখন আমাদের দখলে, আপনি আপনার পরিবার ও আপনার ফৌজ আত্মসমর্পণ করুন, আপনাদের সমস্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। তাদের কথোপকথনের যে অংশ আমরা জানতে পেরেছিলাম তা হলো

নিয়াজি : ঘড়. ঘড়  আত্মসমর্পণ নয়, যুদ্ধবিরতি ভারতীয় জেনারেলরা : দেখুন জেনারেল, আত্মসমর্পণ করলে আপনি, আপনার পরিবার ও আপনার ফৌজকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেব।

নিয়াজি : : No I CAN NOT ACCEPT YOUR PROPOSAL.

জেনারেল ডোরা : আত্মসমর্পণ ছাড়া আপনার কোনো প্রস্তাবই আমরা মানতে রাজি নই। আপনাকে ১৫ মিনিট সময় দিচ্ছি। আপনি পাশের ঘরে গিয়ে আপনাদের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়ার সঙ্গে কথা বলুন।

জেনারেল বি এন সরকার : এই ১০-১১ দিনের যুদ্ধে আমাদের ফৌজ বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে।

জেনারেল সৌগত সিং : বেগম সাহেবা (বেগম মুজিব) ও তার ছেলেমেয়ের নিরাপত্তায় ঘাটতি হলে আমরা আপনার সব ফৌজকে আটকে দেব। ৩২ নম্বর ধানমন্ডির দিকে এগোবেন না। আমরা নজর রাখছি। আমাদের ফৌজ ধানমন্ডির আশপাশেই ঘুরছে। আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি। একটু এদিক-ওদিক হলে আপনারা আর পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারবেন না, আলোচনার মধ্যে নিয়াজি দ্রুতবেগে পাশের ঘরে চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন। এবার নিয়াজি ফিরে এসে গোমড়া মুখে বললেন, ‘কই দিন আপনাদের কাগজ, আমি এবং আমার ফৌজ আত্মসমর্পণ করছি, সেই বৈঠকে স্থির হলো- ১৬ ডিসেম্বর (৪৮ বছর আগে ঠিক আজকের দিনে) আত্মসমর্পণ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো। ১৬ তারিখ বিকালে ঢাকার রমনা ময়দানে প্রকাশ্যে আত্মসমর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল পূর্বাঞ্চলের জি-ও-সি-ইন-ইষ্টার্ন কমান্ড জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে জেনারেল নিয়াজি। সেদিন পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটি দেশের জন্ম হলো। সেটি হলো বাঙালিদের বাংলাদেশ। ওই আত্মসমর্পণের পরে গোটা ভারতবর্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হলো উৎসব। সারা রাত মাইকে বাজল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় লেখা বিভিন্ন গান। ১৬ ডিসেম্বর যখন ইন্দিরা গান্ধী ভারতের সংসদে বাংলাদেশে যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘোষণা করছিলেন তখন বিরোধী দলনেতা জনসংঘের অটল বিহারি বাজপায়ি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ‘আপনি দেবী দুর্গা। পাকিস্তান ভেঙে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’ কিন্তু এই স্বাধীনতার যিনি জনক জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছিলেন তাদের পুনর্বাসন করেছিলেন জিয়াউর রহমান ও তার বিধবা স্ত্রী  খালেদা ও বিদেশে বসবাসকারী পুত্র তারেক রহমান। সেই অশুভ শক্তিকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে। তার কিছু কিছু তথ্য ও প্রমাণ কলকাতায় নানা সূত্রে পাওয়া গিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তান দূতাবাস সংলগ্ন গ্লোরিয়া জিনস্ কফিশপে যান পাকিস্তানি দূতাবাসের দুই কর্তা। ১৫ মিনিট পর সেখানে পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং ব্যারিস্টার আমিনুল হক। তারা প্রায় ২৫ মিনিট কথাবার্তা বলেন, পরের দিন ওই একই এলাকায় নান্দোস        রেস্তোরাঁয় পাকিস্তানের ওই দুই অফিসারের সঙ্গে নাকি দেখা যায় স্থায়ী কমিটির আরেক প্রভাবশালী সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মতে, জামায়াতকে আদর করার পেছনে বিএনপির একটি উদ্দেশ্য কাজ করছে। সেটা হলো পরিস্থিতি বেগতিক বুঝলে দেশের সর্বত্র সন্ত্রাস ছড়িয়ে শেষ মুহূর্তে ভোট বানচাল করা। আবার আওয়ামী লীগের এক অংশের বক্তব্য, নির্বাচনে অংশ নিয়ে গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করতে পারে। আর সেখানে কাজে লাগানো হতে পারে এই জামায়াতপন্থিদের। দেশে-বিদেশে নানা সমালোচনার মুখে পড়েও শুধু উদ্দেশ্য সফল করার জন্য জামায়াতকে ত্যাগ করতে পারেনি বিএনপি।

সব শেষে এ কথা বলা যায় যে, এ বছর ডিসেম্বর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার ৪৮ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ শাসন করেছে মাত্র ১৯ বছর। আওয়ামী লীগ শাসনামলে উন্নয়নের খতিয়ান দীর্ঘ। শুধু একটি উদাহরণ দিচ্ছি সম্প্রতি জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার শতকরা ৯৫ ভাগ যা কোনো উন্নত দেশেও নেই। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন জিয়ার বিধবা স্ত্রী খালেদা ও পুত্র তারেক রহমান এবং পাকিস্তান জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক আর ১৪ দিন পর শেষ হাসি হাসবেন বাংলাদেশে মুক্তির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাই। সুতরাং ডিসেম্বরের বাকি ১৪ দিন স্বাধীনতাপন্থিদের কড়া নজরে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টি দিতে হবে।

লেখক : ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর