রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে মহান বিজয় উপলক্ষে করণীয়

মুফতি শামছুল হক সা‘দি আল-হাবীবী

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণের মহান বিজয়ের যে গৌরব অর্জিত হয়েছে, তা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বিশেষ দয়ার দান ও বিশাল নিয়ামত। কেননা, মহান আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধান, আল-কোরআনুল কারিমের ৪ নম্বর সূরা, সূরাতন নিসার ৭৯ নম্বর আয়াতে আছে, আপনার যে কল্যাণ হয় তথা নিয়ামত অর্জিত হয়, তা অর্জিত হয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে। সমগ্র বিশ্বের কওমি মাদ্রাসা সমূহের ‘মা’ উম্মুল মাদারিস জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারতের তৎকালীন গ্র্যান্ডমুফতি, আল্লামা মুফতিয়ে আজম শফী (রহ.) কৃত তাফসিরে মায়ারিফুল কোরআন (সৌদি সংস্করণ) ২৬৬ পৃষ্ঠায় আছে, মানুষ শুধু আল্লাহর অনুগ্রহেই নেয়ামত লাভ করে। ... এ আয়াতের দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, মানুষ যে সমস্ত নেয়ামত লাভ করে তা তাদের প্রাপ্য নয়, বরং একান্ত আল্লাহতায়ালার অনুগ্রহেই প্রাপ্ত হয়। বাংলাদেশ নামক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ যে রাষ্ট্র ‘আজ’ পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছে, তা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাই আমাদের উপহার দিয়েছেন। কোরআনুল কারিমের, সূরা আল ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াতে আছে, বলুন হে মহান আল্লাহ! আপনিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য/রাষ্ট্র দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য/রাষ্ট্র ছিনিয়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত করেন। আপনারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল (সর্ব ক্ষমতার উৎস)। মহান বিষয় উপলক্ষে আমাদের করণীয় : ০১. সার্বিকভাবে (উপলব্ধি, মন, অন্তর, মুখ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইত্যাদির মাধ্যমে) মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। ০২. মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের অংশ হিসেবে যে সব মানুষের (মুক্তিযোদ্ধার) মাধ্যমে মহান বিজয়ের নিয়ামত অর্জিত হয়েছে, তাদের শুকরিয়া আদায় করা, তাদের অবদানের কথা স্মরণ করা, সঠিকভাবে লিখে রাখা, হেফাজত করা, আলোচনা করা, তাদের প্রশংসা করা, গুণকীর্তন করা, তাদের মধ্য থেকে যারা জীবিত আছেন তাদের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করা, হেদায়েতের দোয়া করা, তাদের পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণের, জন্য দোয়া করা।

লেখক : মুহতামিম মুহাম্মাদিয়া কওমি মহিলা মাদ্রাসা, ৮৬, মুসলমানপাড়া রোড, খুলনা।

সর্বশেষ খবর