বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হবে কি হবে না, তা নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এমন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে সহিংসতার ঘটনা কমে যায়। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ উদ্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়। ভোটের আগে প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রচার-প্রচারণা ঘিরে কারও ওপর হামলার ঘটনা ঘটে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে এবং হামলা যাতে না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক কথায় নির্বাচন কেন্দ্র করে সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকতে হবে। ভোটের সময় বা ভোট-পরবর্তী অনেক সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর যেন কোনো ধরনের হামলার ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। দেশের সব ভোটার যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, সেই নিরাপত্তা দৃশ্যমান হতে হবে। ২০০১ ও ২০১৪ সালে ভোটের পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবার কোনো পক্ষই যাতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ গুরুত্বের দাবিদার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সন্ত্রাস ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর