বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অপহরণ বাণিজ্য

দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনুন

রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায়ই ঘটছে অপহরণ। অপহরণের যারা শিকার তার একাংশের খোঁজ মিললেও অন্যদের ভাগ্য অজানাই থেকে যাচ্ছে। অপহরণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে রাজধানী ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকাগুলোয়। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ অপহরণের শিকার হচ্ছেন। অপহরণকারীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে অপহরণ করছে রাজধানীর রাজপথ থেকে। তারপর অপহৃতের ওপর নির্মম নির্যাতনের শব্দ শুনিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছে। অপহরণকারীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিশুরা। শিশু অপহরণ করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। সম্প্রতি ভারতীয় টিভির অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’ দেখে গাজীপুরের শিশু রাকিনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে দ্রুত বড়লোক হতে চেয়েছিল দুই তরুণ পারভেজ শিকদার ও ফয়সাল আহমেদ। শিশুটিকে অপহরণ করে দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ, না পেয়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। কিন্তু মোবাইল রিচার্জের এক টুকরো কাগজের সুবাদে ধরা পড়ে সেই খুনিরা। অপহরণকারীদের একজন পারভেজ দুই বছর ধরে শিশুটিকে প্রাইভেট পড়াত। সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের কারণে জননিরাপত্তা যেমন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, তেমনি বিঘ্নিত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনামও। কারণ অপহরণকারী দলের সদস্যরা কখনো কখনো আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ঘটাচ্ছে অপহরণের ঘটনা। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, বড় মাপে সরকারের। স্বভাবতই অপহরণের মতো জঘন্য অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু নয়, সরকারের সুনামের জন্যও বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। আমরা আশা করব, এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন। দুর্বৃত্তদের শিকড় উপড়ে ফেলার সব চেষ্টাই তারা করবেন। অপরাধী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনাকে তারা কর্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন এমনটিও কাক্সিক্ষত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর