শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনী ইশতেহার

কথা নয় কাজ দেখতে চায় দেশবাসী

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। সচরাচর যেমনটি হয় তেমনভাবেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা জোট দেশবাসীর সমর্থন আদায়ে গালভরা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দেশবাসী এখন আর কথা নয় কাজে বিশ্বাস করে। ক্ষমতায় থাকতে কে কতটা কথা রেখেছেন, কাজ করেছেন তাদের কাছে তার গুরুত্বই বেশি। নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ২১ দফা অঙ্গীকার করা হয়েছে দেশবাসীর কাছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, গ্রামে শহরের সুযোগ সৃষ্টি, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি, ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ ও এক বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ওপরে সব নাগরিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা তার মধ্যে অন্যতম। পক্ষান্তরে বিএনপি ঘোষিত ইশতেহারে যে ১৯ দফা অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে তাতে ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ না করা, ডিজিটাল আইন বাতিল, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি দল নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের যে চিত্রকল্প তুলে ধরেছে তা একটি নতুন দিক। একসময় পুরো বাংলাদেশকেই ভাবা হতো মস্ত একটি গ্রাম। গত এক দশকের উন্নয়ন সে অবস্থানে দৃষ্টিগ্রাহ্য পরিবর্তন এনেছে। ফলে গ্রামে শহরের আবহ সৃষ্টির যে স্বপ্নকল্প ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে তাকে কল্পনাবিলাসী বলে ভাবার সুযোগ নেই। শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসাসুবিধা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিও প্রশংসাযোগ্য। একইভাবে হিংসামুক্ত সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অঙ্গীকার স্বস্তিদায়ক বলে বিবেচিত হবে সাধারণ মানুষের কাছে। তবে প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা ভালো তা বাস্তবায়নের ওপর নির্ভরশীল। আমরা আশা করব যে দলই ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। হরতাল, আগুনসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ভীতিকর দিকগুলোতে দেশ কখনো ফিরে যাবে না। গণতন্ত্র শুধু স্লোগান নয়, সব দলের কাছে আদর্শিক বিষয় বলে বিবেচিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর