বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নারীর ক্ষমতায়ন

বাংলাদেশের অগ্রগতি আশাজাগানিয়া

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর কবিতা ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় কবির কবিতায় যে সত্যিকারভাবে অনুপ্রাণিত তা প্রমাণিত হয়েছে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স ২০১৮-তে বলা হয়েছে, নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে নারীর ক্ষমতায়নে। এবার নারীর ক্ষমতায়ন উপসূচকে বিশ্বে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শ্রমশক্তিতে নারী-পুরুষের ব্যবধান কিছুটা বেড়েছে বাংলাদেশে। প্রতিবেদন অনুযায়ী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে শীর্ষ চারটি দেশ হলো আইসল্যান্ড, নিকারাগুয়া, রুয়ান্ডা ও বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো। ১৪৯টি দেশের মধ্যে তালিকায় তলানিতে রয়েছে ইয়েমেন। তার একটু ওপরে পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, চাদ, কঙ্গো, মালি, ইরান, সৌদি আরব। সার্বিক সূচকে বিশ্বের ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৪৮তম অবস্থানে। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার সবকটি দেশের অবস্থান ১০০ বা তার নিচে। এবার সার্বিক সূচকে বিশ্বপরিসরে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৪৮তম, শ্রীলঙ্কা ১০০তম, নেপাল ১০৫তম, ভারত ১০৮তম, মালদ্বীপ ১১৩তম, ভুটান ১২২ ও পাকিস্তান রয়েছে ১৪৮তম অবস্থানে। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশে নারী-পুরুষের ব্যবধান খুবই কমে এসেছে। তবে উচ্চশিক্ষায় ব্যবধান তুলনামূলক বেশি। নারী-পুরুষের সমতায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিশেষত নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন আশাজাগানিয়া ঘটনা। তবে এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান বাংলাদেশে এখনো দুর্বল। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও তারা পিছিয়ে। দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে হলে এসব ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর