শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ

জাতীয় সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য

ব্যক্তিজীবনের মতো জাতীয় জীবনেও সমৃদ্ধির পথ দেখায় ব্যবসা-বাণিজ্য। আজকের দুনিয়ায় সেই জাতিই সব দিক থেকে এগিয়ে, যে জাতি ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। গত এক দশকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দৃষ্টিকাড়া উত্থান সম্ভব হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার কারণে। দেশে আর্থিক দিক থেকে যে উন্নতি ঘটেছে তার পেছনেও ব্যবসা-বাণিজ্যের অবদান অনস্বীকার্য। আর এ কারণেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বড় অংশের সমর্থন ঘোষিত হয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষে। স্বীকার করতেই হবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের রাজনীতিতেও গুণগত পরিবর্তন এসেছে। একসময় হরতাল, ধর্মঘট ও রাজপথের নৈরাজ্য ছিল জাতীয় রাজনীতির অপরিহার্য অনুষঙ্গ। সেই কালো অধ্যায়ের যবনিকাপাত ঘটিয়ে সব রাজনৈতিক দল ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির অঙ্গীকার করছে। আগুনসন্ত্রাসে জড়িয়ে যারা নিজেদের বিতর্কিত করেছে তারাও বলতে বাধ্য হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। বুধবার রাজধানীতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর ব্যবসায়ী সম্মেলনেও শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে জোরেশোরে। এ উদ্দেশ্যে সরকারের ব্যবসাবান্ধব ভূমিকার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতি করে নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করা তার দলের লক্ষ্য নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এ মনোভাব তাৎপর্যের দাবিদার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ৩ কোটি মানুষ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিবারসহ তাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। কথায় বলে ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখেও ভয় পায়। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সাধারণত দলনিরপেক্ষ ভূমিকা প্রাধান্য পেলেও জোটবিশেষের অতীতের হরতাল এবং আগুনসন্ত্রাসের রাজনীতি তাদের আগামী নির্বাচনে প্রতিরক্ষাব্যূহ তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ক্ষমতাসীন দলের জন্য তা এক বিরাট অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর