শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচন হোক সন্ত্রাসমুক্ত

বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিনন্দনযোগ্য

নির্বাচনে যাতে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভোটারদের হুমকি দিতে না পারে কিংবা ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাস সৃষ্টির সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্রও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সধারীদের বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের আগে সব বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সরকারি বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অস্ত্র এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে। অস্ত্র জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট থানায়। নির্দেশনার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরেও পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি লাইসেন্সধারীদের বৈধ অস্ত্র থানা বা পুলিশের হেফাজতে জমা রাখা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। তবে অস্ত্র জমা নেওয়া হলেই ভোটকালীন আইনশৃঙ্খলা স্বস্তিদায়ক হবে তেমনটি ভাবার অবকাশ নেই। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভূমিকাও প্রত্যাশিত। নির্বাচন কমিশনকেও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও হুমকির যে কোনো অভিযোগ আমলে নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিতে হবে ব্যবস্থা। বিশেষত বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তার দিকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর দিকে সতর্ক নজর রাখা জরুরি। নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আসন্ন নির্বাচনে অন্ধকারের ঘৃণ্যজীবরা যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পরে সে ব্যাপারে সজাগ থাকা জরুরি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কতটা তৎপর হবে তার ওপর তাদের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে।

সর্বশেষ খবর