রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনে সংঘাতের উঁকিঝুঁকি

মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব.)

নির্বাচনে সংঘাতের উঁকিঝুঁকি

৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণ একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদে ১৫১ আসনে জয় পাওয়া দল সরকার গঠন করবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দিলেও পরিশেষে সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনো কৌশলের অংশ কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত বড় রাজনৈতিক ভুল হিসেবে পরিগণিত হয়। দলের গণতান্ত্রিক চরিত্রে কালিমা লেপে দিয়েছিল সে ভুল সিদ্ধান্ত।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে স্বাধীনতা রুখতে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এ-দেশীয় দোসররাও যোগ দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধবন্দী হয়ে পাকিস্তানি হানাদাররা একপর্যায়ে স্বদেশে ফেরত গেলেও দেশেই রয়ে গেল এ-দেশীয় দোসররা। বাংলাদেশের অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে তারা রাজনৈতিক অধিকারকে কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও ভারতবিরোধিতার কার্ড কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেওয়ার নতুন লড়াইয়ে  নিয়োজিত হয়। ধর্মের নামে সমাজ নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সহিষ্ণু সমাজ ভেঙে অসহিষ্ণুতার সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক ছক আঁকে। আন্দোলনের নামে সহিংসতার অনুশীলনে বাংলাদেশে সংঘাতের বীজ বপিত হয়। বর্তমান নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণা অনুষ্ঠানে অন্ত ও আন্তঃদলীয় সংঘাত ধীরগতিতে সংক্রমিত হয়ে নির্বাচনের পবিবেশে বিরূপ প্রভাব  ফেলছে। পরিকল্পিত সন্ত্রাস ও হত্যা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করে জয় নিশ্চিত না হলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার মহাকৌশল বেশ দৃশ্যমান। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে সংঘাতের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তাই ভোটাররা শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না নিরাপত্তা নিয়ে। সংঘাত ও সহিংসতা অবাধ নির্বাচনের প্রতিবন্ধক হিসেবে আবর্তিত হচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ জনগণের নজরদারিতার মুখে পড়ে অধিক স্বস্তিদায়ক হয়ে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করে। সর্বদলীয় অংশগ্রহণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক।

সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তথা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে দেশ এগোচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ ধরে রাখা অত্যাবশ্যকীয়। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন বেগবানের সঙ্গে সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে চলেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এক ডজন প্রার্থীর প্রচারে সংঘাত হয়েছে, ফলে প্রার্থীসহ কিছু সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে সরকারি দলের অন্তত তিন নেতা নিহত হলেও মিডিয়া বেশি সোচ্চার বিরোধী পক্ষের খবর নিয়ে। নির্বাচনে সহিংসতার চর্চা এ উপমহাদেশে নতুন না হলেও সংঘাতের চরিত্র, প্রকৃতি ও গতিপথ নির্ণয় খুব জরুরি। কেননা সংঘাতের সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে। যদিও বর্তমান সংঘাতের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। শুরুতেই খুঁজতে চেয়েছি সংঘাতের সম্ভাব্য উৎস। রাজনীতি বা নির্বাচনী সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক দলের উসকানিমূলক কৌশল অনেকাংশ দায়ী। এখানে অন্ত ও আন্তদলীয় বৈরিতার পাশাপাশি উসকানিমূলক রাজনৈতিক বাগ্মিতা সংঘাতের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক বাগ্মিতা তৃণমূলে গিয়ে সংঘাতের উপাদানে পরিণত হয়ে সহিংসতার রূপ নেয়। প্রথমত, স্বাধীনতার সপক্ষশক্তির নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে ভোট প্রার্থনা অনেক মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করেছে, ফলে নির্বাচনী প্রচারণা জনরোষের মুখে পড়ছে। দ্বিতীয়ত, বিরোধী জোটের অস্বচ্ছ মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং বাণিজ্য মনোনয়নবঞ্চিতদের বৈরিতার কারণে অন্তর্দলীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকে কিছু সংঘাত দৃশ্যমান হচ্ছে। তৃতীয়ত, দলের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দল থেকে একে অন্যকে অচল করতে হামলা করেছে।

জামায়াতকে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়ে নির্বাচনের মাঠে হিংসার বিচরণের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পর জামায়াত অস্তিত্ব ঠেকানোর যুদ্ধে লিপ্ত। নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রদর্শন করে বৈশ্বিক বৈরিতা মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে এ নির্বাচনকে তারা ব্যবহার করছে। বিরোধী জোটের গণতন্ত্র রক্ষার তথাকথিত বাগ্মিতা নির্বাচনে হেরে গেলে রাজনীতির বাতি নিভে যেতে পারে, তাই নির্বাচনে পরাজয়ের সম্ভাবনা যতই জ্বলে উঠবে সংঘাতের মাত্রা ততই বাড়তে থাকবে। এমনকি নির্বাচন ভণ্ডুল করার প্ল্যান বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে। না পারলে নিদেনপক্ষে সংঘাতের দায় সরকারি দলের ঘাড়ে চাপিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্য অর্জনে এগোতে থাকবে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রিটার্নিং অফিসারদের ভীতি প্রদর্শন করে উড়ো চিঠি দিয়ে সহিংসতার আগাম বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে, সেইসঙ্গে জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো জেগে উঠছে এবং জামায়াতে ইসলামীর পেশিশক্তিকে কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের সভানেত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত অনেক আগেই দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে চলেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজেদের জয়ের তরী অনেক আগে নিয়ে গিয়েছে। তার আস্থা বাংলাদেশের সব পেশার মানুষকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে তারকারাও তার পক্ষে নেমেছে। দলের কাণ্ডারি হিসেবে দল গুছিয়ে ফেলেছেন সুন্দরভাবে। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ নির্বাচনের জন্য পরিপক্বতার অভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে নির্বাচন কৌশলে অস্বচ্ছতার দিকে তারা ঝুঁকে পড়তে পারে, যা নির্বাচনকে অনিরাপদ করে তুলতে পারে।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অনুপস্থিতিকে উপজীব্য করে নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিমধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ফুটিয়ে তুলছে মহল-বিশেষ। নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার নাম করে সংঘাতের বীজ বুনে রাখা হয়েছে। নির্বাচনে ফলাফলের আভাস দেখে সহিংসতার অপচর্চা হতে পারে। এজন্য অপশক্তিগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে পূর্ব ধারণাপ্রাপ্ত হয়ে প্রস্তুতির মাত্রা কমবেশি করা যায়। নির্বাচনের প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে এগিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে সহিংসতা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ালে তা কঠোরভাবে দমন করতে হবে। বিরোধী পক্ষ নিজেদের অন্তর্দলীয় কোন্দলের আশঙ্কা থেকে মুক্ত নয়। নির্বাচন বাণিজ্য সহিংসতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সহিংসতা নিরসনে নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপালে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্মোহ আইন প্রয়োগের চাপ দিলে তার ফলে মামলা ও গ্রেফতারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অনুপস্থিতির অজুহাত তুলে বিদেশিদের কাছে বেশি অনুযোগ করার সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর পরামর্শকে অবজ্ঞা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করে তাদের রাজনীতিতে স্থান করে দেওয়ার ফলে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মার্কিনি অনুকম্পা হারিয়েছে। তারেক রহমানকে বাইরে রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গিয়ে ড. কামাল ও মির্জা ফখরুল ইসলাম তারেক রহমানের রোষানলে পড়ায় তার ওপর বিএনপির হামলা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে দুবাইভিত্তিক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার খবর ইতিমধ্যে চাউর হয়েছে। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ত্রাসমুক্ত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নাশকতার আশঙ্কা করে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্ট বা ধানের শীষের প্রার্থীদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে নির্বাচনী প্রচার করতে না পারার দায় অসমতল মাঠের অজুহাত তুলে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নিজ নিজ দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে ঐক্যফ্রন্টসহ অনেক দলের শীর্ষ নেতারা হুমকি-ধমকি দিয়ে নিজেদের শক্তি জাহির করতে সচেষ্ট। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সংঘাতের উসকানিতে রূপ নিচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে মনোনয়নবঞ্চিতরা মাঠে পেশিশক্তি প্রদর্শিত করছে। অনেক প্রার্থীকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে প্রার্থীর গাড়িতে হামলা করছে, সমর্থকরা হামলার মুখে পড়ছেন। প্রার্থী রাজনৈতিক সুবিধা নিতে দোষ চাপাচ্ছে প্রতিপক্ষের ওপর এবং দল দোষারোপ করছে সরকারি দলের বিরুদ্ধে। ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগের ওপর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সতর্ক মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, নির্বাচনের বাগ্মিতায় রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা থাকে, ফলে অসতর্ক মন্তব্য উসকানিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করে। তবে নির্বাচনে হারের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরাজিত পক্ষ ২০১৪ সালের মতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন ভণ্ডুল না করতে পারলেও প্রশ্নবিদ্ধ করে গ্রহণযোগ্যতা কেড়ে নেবে বলে অনুমিত হয়।

এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি প্রাক-জরিপ থেকে পাওয়া তথ্যে নির্বাচনী ফলাফল উন্নয়নের ধারাবাহিকতার পক্ষে রয়েছে বলে এ নির্বাচন থেকে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক সুবিধা বা ক্ষমতার সিঁড়িতে উঠতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন পরিবেশের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হবে। ঐক্যফ্রন্ট ভোটারদের সমাগম ঘটিয়ে নিরাপত্তা খুঁজতে চেয়েছে। তাই সকালে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে ভোট কেন্দ্র রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সন্ত্রাসী দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। ভোট-পরবর্তী নিরাপত্তাব্যবস্থা সমান গুরুত্ব বহন করে। ভোটারদের ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে তাদের ঘর থেকে কেন্দ্রে যাওয়া এবং ফিরে যাওয়া যেমন নিরাপদ করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে তার ইচ্ছামতো ভোট প্রদানের পরিবেশ বিদ্যমান থাকবে বলে আশা করা যায়।

এলাকাকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীমুক্ত করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যে কোনো পূর্ব অভিযান সমতল ভূমি বিনির্মাণে সহায়ক না হয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। তবে নির্বাচনের মাঠকে সমতল ভূমি সৃষ্টির কথা বলে সন্ত্রাসের অবারিত ক্ষেত্রে পরিণত হতে দিলে নাগরিক নিরাপত্তার বিপর্যয় ঘটতে পারে। নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ খুব জটিল। রাজনৈতিক বাগ্মিতা এড়িয়ে সঠিক ঝুঁঁকি নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যূহ তৈরি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপশক্তির গতিবিধির ওপর নজরদারি দরকার। সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ও জনগণের সতর্ক সচেতনতা পারে দেশকে নিরাপদ রেখে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে।

লেখক : স্ট্র্যাটেজি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের

(আই ক্লাডস) নির্বাহী পরিচালক।

 

সর্বশেষ খবর