রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচন

সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে

নির্বাচনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশনে। কোথাও অভিযোগের তীর আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। বিএনপি, জাতীয় পার্টি এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে রিটার্নিং অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিস ও ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে শত শত অভিযোগ এসেছে। প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে। তদন্তে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইসিকে জানাতেও বলা হচ্ছে। আবার অনেক আবেদন নির্বাচন কর্মকর্তাদের টেবিলেই পড়ে আছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আমাদের মতো দেশে নির্বাচনের অনুষঙ্গ হিসেবেই বিবেচিত। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ করা হলেই তার সবই সত্যি এমনটি ভাবার অবকাশ নেই। অনেক সময় প্রতিপক্ষকে জব্দ করার জন্য নাটকও সাজানো হয়। তবে প্রচারণায় প্রতিটি দল শুধু নয়, প্রার্থীরাও নির্বাচনবিধি মেনে চলবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে কঠোর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর যেহেতু তাদের সুনাম নির্ভরশীল সেহেতু এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগকে খাটো করে দেখা কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কোনো দল ব্যক্তি এমনকি সরকারের কাছেও তারা দায়বদ্ধ নয়, তারা দায়বদ্ধ পুরো জাতির কাছে। নির্বাচনকালীন প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন দুনিয়ার যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় খাটো নয়। নির্বাচন কমিশনের হাতও অনেক লম্বা। সেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যত্যয় ঘটলে তাতে নির্বাচন কমিশনের সুনাম বিঘ্ন হবে। দেশের সুনামও হবে প্রশ্নবিদ্ধ।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী

প্রার্থীরা সহায়তা দেবেন- এমনটিও কাক্সিক্ষত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর