সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

যুক্তফ্রন্টের সেই নির্বাচন

মাকিদ হায়দার

যুক্তফ্রন্টের সেই নির্বাচন

বয়স যখন আমার সাত বছর তখন নাকি যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন মুসলিম লীগ বিরোধীরা। তৎকালীন মুসলিম লীগের নেতারা সবাই কুপোকাত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য পার্টির প্রচার প্রচারণার কাছে। বিশেষত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন দমনে হত্যা, গ্রেফতার, জুলুম, যেভাবে নূরুল আমিন সরকার করেছিল সেটি সর্বজনবিদিত হওয়ার সুবাদে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৫২-৫৩ সালের কোনো সময়ে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, পাবনা শহরের লাহিড়ীপাড়ায় তার বড় জামাতা আবদুস সবুরের বাড়িতে দুই দিনের জন্য অতিথি হয়ে দলীয় লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ার পরে, শহরের বাণী সিনেমা হলে একটি জনসভা হয়েছিল। মওলানা ভাসানীকে শহরবাসী যথেষ্ট সম্মান জানালেও পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাকি খারাপ ব্যবহার করায় মওলানা সাহেব ভদ্রলোককে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের গোলামি তো ভালোই করছেন, করুন’, কথাটি যে শ্লেষমিশ্রিত সেটি সহজেই অনুধাবনযোগ্য। সেদিনের সেই অনুষ্ঠানে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যেমন এসেছিলেন, তেমনি ঈশ্বরদী থেকে এসেছিলেন অনেকেই। মোশারফ হোসেন, অনিল বিশ্বাসসহ অনেকেই শহরের গোপালপুর মহল্লার স্বনামধন্য ব্যক্তি খান বাহাদুর ওয়াজেদ আলির কন্যা প্রখ্যাত বামপন্থি নেত্রী সেলিনা বানু, আমিনুল ইসলাম বাদশা, দন্ত বিশারদ ডা. দক্ষ প্রখ্যাত উকিল জগদীশ গুহ, আমাদের পিতা শেখ মোহাম্মদ হাশিমউদ্দিনসহ অজস্র মানুষ মওলানা সাহেবের বক্তৃতায় যেটি অনুভর করেছিলেন, সেটি মুসলিম লীগের আচরণ এবং বাঙালি হয়ে বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের যে করুণ বর্ণনা তিনি সেদিন ওই বাণী সিনেমা হলের মঞ্চে দিয়েছিলেন সেটির বর্ণনা পরে আমাদের পিতার কাছ থেকে শুনেছিলাম আমার কৈশোরে। আর আমাদের বড় বোন সেলিনা হায়দার ঝর্ণা- সেলিনা বানুর নির্দেশে মওলানা ভাসানীর গলায় মালা দিয়েছিলেন, সেই কথা ঝর্ণা আপা এখনো স্মরণ করেন তার ৮০ বছর বয়সেও। ঝর্ণা আপার কাছ থেকে অনেক পরে শুনেছিলাম ১৯৫৪ সালের আরও তথ্যবহুল ঘটনা এবং মজার কয়েকটি স্লোগানের কথা। যেমন, পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার এক অখ্যাত উকিল, যিনি শহরে ‘অগত্যা মধুসূদন’ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। সেই মধুসূদন সরকারের তেমন কোনো প্রসার ছিল না ওকালতি ব্যবসায় কিন্তু তার নিয়তিতে ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে একদিন সুপ্রভাতে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে গেলেন। মধুসূদন বাবু ভোটে জিতে যাওয়ার খবর ছড়াতেই সেদিন সাধারণ মানুষ মুসলিম লীগকে থুথু দিয়েছিল। জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী যুক্তফ্রন্টের নেতা হয়েও তিনি তার ওকালতি ব্যবসার অগ্রজ মধুসূদন বাবুকেই সমর্থন দিয়েছিলেন। কেষ্টপুর আটুয়া-গোবিন্দা, সাধুপাড়া কুঠিপাড়া অঞ্চলের প্রখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা ডাক্তার মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে পাবনার যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য তরুণেরা দলবদ্ধ হয়েছিলেন, যুক্তফ্রন্টের প্রার্থীকে জেতাতে। মধুসূদন সরকার জিতে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। আর হেরে যাওয়া ডাক্তার মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির সামনে গিয়ে ঢিল, ইট, ছেঁড়া জুতা, পচা ডিম যুক্তফ্রন্টের সমর্থকরা নিক্ষেপ করছিল, আর ঘন ঘন স্লোগান দিচ্ছিল- ‘মুসলিম লীগের ভাঙা লণ্ঠন দে নিভাইয়া দে-রে’। একাধারে ইট, পচা ডিম এবং ওই স্লোগান শোনার পরে পরাজিত মুসলিম লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন এবং তার বড় মেয়ে স্কুলপড়–য়া ডলি হোসেন, পিতা এবং কন্যা উভয়ে মিলে বাড়ির জানালার ফাঁক দিয়ে স্লোগানদাতাদের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছিলেন হেরে যাওয়ার প্রতিশোধস্বরূপ। অনেকেই হতাহত হয়েছিলেন, কেউ মারা গিয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি। তবে বেশ কিছুদিনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হওয়ার পরে ডাক্তার (সম্ভবত এলএমএফ) মোফাজ্জল এবং তদ্বীয় কন্যা ডলি হোসেনকে উঠতে হয়েছিল নিম্ন আদালতের লাল কাপড়ে ঘেরা মঞ্চে। তখন নাকি পাবনা শহরের সর্বস্তরের সব বয়সের মানুষ ফৌজদারি বা নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়ার আগে স্লোগানে স্লোগানে শহর কাঁপিয়ে বলতেন- ‘ডলি হোসেনের হচ্ছে বিয়ে ফৌজদারি কোর্টে, তাহার পিতা মোফা মিয়া হেরে গেছে হাজার হাজার ভোটে।’

সেই ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে ভোটে দাঁড়িয়ে যারা এমএলএ, মন্ত্রী হয়েছিলেন তাদের মন্ত্রিত্ব বেশি দিন দীর্ঘ হতে দেয়নি পাকিস্তান সরকার। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা বানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। পরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের একচ্ছত্র অধিনায়করূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন জেনারেল আইউব খান। তার দোর্দণ্ড প্রতাপে এদেশে ত্রাসের কাল শুরু হয়েছিল এবং একই সঙ্গে তিনি হারিয়ে যাওয়া, ডুবে যাওয়া মুসলিম লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বুনিয়াদি গণতন্ত্রের আচ্ছাদনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নতুন ভাবনায় মুসলিম লীগ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন কিশোরগঞ্জের এক অখ্যাত বটতলায় উকিল ময়মনসিংহ কোর্টে তিনি নিয়মিত যাতায়াত করলেও প্রসার ছিল না। তবে তার পরিচিতি ছিল মুসলিম লীগ নেতা হিসেবে। সেই হিসেবে তাকে গভর্নর বানিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। বলা যেতে পারে পাবনার সেই অগত্যা মধুসূদনের কথা। তবে মধুসূদন বাবুকে আসতে হয়েছিল ভোটাভুটির মাধ্যমে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে। পাবনা শহরের তরুণদের সে সময়ের স্লোগান, যা এখনো বয়সীদের দু’চারজন মনে রেখেছেন এবং তাদের একজন খন্দকার গোলাম মোস্তফা মোগল তার মৃত্যুর কিছুদিন আগেও (বয়স হয়েছিল প্রায় ৮২-৮৩) স্মরণশক্তি প্রচণ্ড থাকায় জানিয়েছিলেন, পচা ডিম, ছেঁড়া স্যান্ডেল আমরাই ছুড়েছিলেম ডা. মোফাজ্জলের বাড়িতে এবং আগুন দিয়েছিলাম আমরা কজন বন্ধু এবং স্লোগান ছিল ভাঙা লণ্ঠন নেভানোর।

আজ থেকে ৬৪ বছর আগে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পরে অনেক ভাঙা-গড়ার পরে মোটামুটি আইয়ুবের দোর্দণ্ড প্রতাপের মধ্যেই ভালোভাবে মুসলিম লীগের হাল ধরেছিলেন চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী, খুলনার খান-এ সবুর, রংপুরের কাজী কাদের। এদের মধ্যমণি ছিলেন গভর্নর মোনেম খান। তার গুরু ছিলেন আইয়ুব খান। সেই আইয়ুব রাজত্বের পঙ্গুত্ব শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যেহেতু তৎকালের পূর্ব পাকিস্তান ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ১৯৬৬ সালের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান। যে আন্দোলনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে কসাই ইয়াহিয়া খান নিয়েছিলেন পাকিস্তানের শাসনভার। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ নিহত হলেও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোনো নেতা, মন্ত্রী আসেননি পূর্ব পাকিস্তানে।

মওলানা ভাসানী তখন পল্টন ময়দানে বিশাল এক জনসভায় দাঁড়িয়ে ডান হাত পশ্চিমদিকে তুলে ওই মহাজনসভায় বলেছিলেন পাকিস্তানের কোনো নেতা-মন্ত্রী আমার দেশের বিশাল ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের কেউই দেখতে এলেন না- দুঃখের সঙ্গে আরও অনেক কথাই বলেছিলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘সালামালেকুম’। সেদিনের সেই মঞ্চে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন না, কেননা ৬ দফা প্রণয়নের জন্য শেখ সাহেবকে জেলে পাঠিয়েছিল আইয়ুব, মোনায়েম চক্র। কিন্তু সেই ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের চাপে ১৯৫৪ সালের শেখ মুজিব ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার সেন্ট্রাল জেল থেকে সদর্পে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা হয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এবং আমরা তরুণেরা স্লোগান দিয়েছিলাম- জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো। ১৯৬৫ সালের কোনো এক শীতের সন্ধ্যায় শেখ শহীদুল ইসলাম ইকবাল হলের ক্যান্টিনে চা খেতে খেতে বললেন- চল মাকিদ বেড়িয়ে আসি। কোথায় যাব বলতেই শহীদ ভাই বললেন, ধানমন্ডিতে। অসমাপ্ত চায়ের কাপ রেখে শহীদ ভাই রিকশা ডেকে আমাকে সঙ্গে নিয়ে উঠলেন রিকশায়। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে নিজে রিকশা থেকে নামলেন, সঙ্গে আমিও। রিকশাচালককে ৮ আনা পয়সা দিয়ে শহীদ বললেন, চল বাড়ির ভিতরে যাই।

আগে আমি জানতাম না কার বাড়িতে নিয়ে এসেছেন আমাকে। ড্রয়িং রুমের সামনের বেঞ্চে বসিয়ে শহীদ ভাই বললেন, মামার সঙ্গে কিছু জরুরি কথা আছে, সেরে আসি। তার আগেই আমি দেখলাম, ৬ ফুটের মতো একটি লোক, হাতে সিগ্রেটের পাইপ পরনে লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, পাতলা একটি শাল গায়ে। আগত ভদ্রলোক, জানতে চাইলেন, কী-রে শহীদ কী খবর মামা, একটু কথা আছে, বল শুনি। মামা-ভাগিনা কী যেন বলাবলি করলেন- আমাকে একটু দূরে রেখে সে কথা শুনিনি, শুনলাম, তিনি শহীদ ভাইকে বললেন, ছেলেটি কে- প্রশ্নের উত্তরে শেখ শহীদ তার মামাকে জানালেন, ওর নাম মাকিদ হায়দার, জগন্নাথ কলেজে পড়ে, কথাটি শুনেই মামা তখন জানতে চাইলেন আমার নিকট থেকে,

তোদের কলেজের ছাত্রনেতা কে।

আমাদের কলেজের ছাত্রনেতা, রাজিউদ্দিন আহমদ, আমাদের রাজুভাই। তোর বাড়ি কোথায়? পাবনায়। পাবনার ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে চিনিস?

হ্যাঁ, উনার ছেলে নাসিম তো- আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই একজন ভদ্র মহিলার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তিনি কাকে যেন বললেন, কবুতরের খাবারগুলো ঠিকমতো দিস। এমন সময় শহীদ ভাইয়ের মামা ভদ্র মহিলাকে বললেন, রেনু টুঙ্গিপাড়া থেকে আব্বা যে মুড়ি আর খেজুরের গুড় পাঠিয়েছে ওদেরকে খেতে দাও।

সেই আমার প্রথম সরাসরি শেখ মুজিবুরকে দেখা এবং কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ তারই হাতে গড়া স্বাধীন বাংলাদেশে দীর্ঘ দীর্ঘকাল পরে ঐক্যজোট হয়েছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে। তবে ঋজু ব্যক্তিত্বের ডা. বি চৌধুরী, ঐক্যজোটে যোগ না দিয়ে বোধকরি ভালো করেছেন। হয়তো ডা. চৌধুরীর মনে পড়েছিল কয়েক বছর আগে তাকে তাড়া করেছিল তারাই হাতে গড়া একটি রাজনৈতিক দলের সভ্যরা। তবে তাকে সাধুবাদ জানাই, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন ঐক্যজোটে যাবেন যদি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ বিএনপি বা ঐক্যজোট ত্যাগ করতে পারেন।

ঐক্যজোটে এখনো নেতাদের ছবি, বার্তাকথন মিডিয়াতে শুনতে পাচ্ছি, যাদের ভিতরে অনেকেই আছেন বা ছিলেন, একদা অপরাজনীতি করে ১৯৭২-৭৫ সালে যুব সম্প্রদায়কে বিপথগামী করেছিলেন। ঐক্যজোটের জনাকয়েক আছেন যারা বিভিন্ন সময়ে দলবদল করে সুখের সন্ধানে গিয়েছিলেন, সেসব সুযোগ সন্ধানী ঐক্যজোটের মহা পতাকার নিচে কতদিন থাকবেন সেটিও আমাকে ভাবতে হচ্ছে বেশ কিছুদিন থেকে। দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, প্রেস ফ্রিডম ইত্যাকার কথাগুলো প্রতিনিয়তই শুনছি। তবে প্রথমবার যখন নির্বাচনের দিন ২৩ ডিসেম্বর ইসি নির্ধারণ করেছিলেন তখন আমি ভাবছিলাম ভোট দিতে যাব না। কেননা, ২৩ ডিসেম্বর আমাদের হায়দার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোহাম্মদ হাকিম উদ্দিনের ৪৮তম মৃত্যু দিবস। পরে যখন ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষিত হলো তখন মনস্থির করলাম ভোট দেব- গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। মহাজোট, ঐক্যজোট, বিএনপি, জামায়াত- ভাবতেই পারছি না গণতন্ত্র কোনদিকে যাবে।

রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি

১। দেশকে ভালোবাসিবার প্রথম লক্ষণ ও প্রথম কর্তব্য দেশকে জানা।

[সাহিত্য, সাহিত্য পরিষৎ]

২। দেশে জন্মালেই দেশ আপন হয় না। যতক্ষণ দেশকে না জানি... ততক্ষণ সে দেশ আপনার নয়। [পল্লী প্রকৃতি। পল্লীসেবা]

৩। গণতন্ত্র-ডেমোক্রেসির খুন এই যে, নিজে ভাববার না আছে তার উদ্যম, না আছে তার শক্তি। যে চতুর লোক কানে মন্ত্র দেবার ব্যবস্থা আয়ত্ত করেছে সে নিজের ভাবনা তাকে ভাবায়। [পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরি, ৫/১০/১৯২৪]

৩০ ডিসেম্বরের শুভদিনের অপেক্ষায় রইলাম। এই ৭২ বছর বয়সে।                                লেখক : কবি।

 

সর্বশেষ খবর