সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে অস্ত্র উদ্ধার

অভিযান অব্যাহত রাখুন

শান্তিচুক্তির পর তিন পার্বত্য জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে এমনটিই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ হয়নি পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অন্তর্কোন্দলের কারণে। পাহাড়ি সংগঠনগুলোর ক্যাডারদের সিংহভাগ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেও শুরু হয়েছে অপতৎপরতা। পাহাড়ি সংগঠনগুলোর দুর্বিনীত সদস্যদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে পার্বত্য তিন জেলার শান্তিপ্রিয় মানুষ। গত শনিবার ভোরে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মেশিনগান  ও কার্বাইনসহ শীর্ষ তিন অস্ত্র কারবারি ধরা পড়েছে। সদর উপজেলার রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কসংলগ্ন বিলাইছড়ি পাড়ায় অভিযান পরিচালনার সময় ধরা পড়ে কুখ্যাত তিন অস্ত্র ব্যবসায়ী। গেফতাররা হলেন, জনসংহতি সমিতির সাবেক সশস্ত্র গ্রুপ কমান্ডার বিশ্ব জ্যোতি চাকমা, তার সহযোগী বিনয় ত্রিপুরা এবং উল্যা পুরু মারমা। অভিযানে তিনজনকে ধরা সম্ভব হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারদের কাছ থেকে একটি ৭.৬২ মিমি মেশিনগান ও একটি ৯ মিমি সাবমেশিন কার্বাইন উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থানরত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ ও জেএসএসের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ইউপিডিএফের কাছে ছয়টি একে-৪৭ সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেছেন তারা। রাঙামাটিতে মেশিনগান ও কার্বাইনসহ তিন অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতারের ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি স্বস্তিদায়ক খবর। আমরা আশা করব অস্ত্র কারবারিরা যাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। অস্ত্র সরবরাহের উৎস পথ বন্ধেও নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। তিন পার্বত্য জেলার শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন শান্তি নিশ্চিত করতে যার বিকল্প নেই।

 

সর্বশেষ খবর