মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেনাবাহিনী মোতায়েন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গতকাল নিয়োগ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা ওই পরিপত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বুধবার জারিকৃত এ-সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়- ২৪ ডিসেম্বর ’১৮ থেকে ২ জানুয়ারি ’১৯ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থাকে তারা সহায়তা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভোট কেন্দ্রের ভিতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবেন সেনা সদস্যরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তে নির্বাচনী প্রচারণায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজতর হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যেমন সহজতর হবে, তেমন ভোটারদের মধ্যে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার মতো আস্থা সৃষ্টি হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর