নির্বাচনী সংঘাত ঠেকাতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগের ও পরের দিনগুলোতে যাতে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্যকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়োগ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মানব পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর গত দেড় মাসে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে নিরাপত্তা নিদ্র করতে প্রত্যেকটি সংস্থা তাদের নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কর্মকৌশল ঠিক করেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর ৩০ জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। এর আগের দিন সবকটি রেঞ্জের ডিআইজি, সব পুলিশ কমিশনার ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে পুলিশ সদর দফতরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব তৎপরতার উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সংঘাতমুক্ত রাখা। দৃশ্যত সে উদ্দেশ্য অনেকখানিই সফল হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় এ যাবৎ প্রতিদ্বন্দ্বী দল বা সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত হানাহানির সংখ্যা তুলনামূলক বিচারে কম। তবে দল বা জোটবিশেষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গ্রেফতারের ভয়ে অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। এর ফলে সরকারি দল প্রভাবিত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা বহু ক্ষেত্রে একতরফা রূপ ধারণ করছে। তবে বিরোধী দল প্রভাবিত এলাকার চিত্র ভিন্ন। সেনাবাহিনী নিয়োগের পর নিরাপত্তা সম্পর্কে আস্থা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপকসংখ্যক ভোটার এবার ভোট প্রদান করবেন বলে আশা করা যায়।