শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কুঋণের অপসংস্কৃতি

ব্যাংকগুলোর দায়বদ্ধ ভূমিকা প্রত্যাশিত

খেলাপি ঋণ দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উন্নয়নের গতিকে স্তিমিত করছে কুঋণের অপসংস্কৃতি। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো সৎ উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছে না। আমরা এ কলামে বারবার বলেছি ঋণখেলাপির জন্য ব্যাংকগুলোর দায় কম নয়। কোনোটি সুঋণ আর কোনোটি কুঋণ এটি বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধি ও মেধা যে তাদের রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। তারপরও অনির্ভরযোগ্য উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হয় বরাদ্দকৃত ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উৎকোচ হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশায়। নির্ভরযোগ্য ঋণপ্রত্যাশীদের তারা নানা অজুহাতে ঘুরালেও আরব্য উপন্যাসের ‘থিফ অব বাগদাদ’ মার্কা ঋণপ্রত্যাশীদের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় অবলীলাক্রমে। বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের মহিলা শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সঙ্গত কারণেই বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে কুঋণ বন্ধ করা গেলে খেলাপি ঋণ এক শতাংশে নেমে আসবে। তিনি ব্যাংকগুলোকে ঋণ গ্রহীতার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন খেলাপি ও কুঋণ পদ্ধতি বন্ধ করা গেলে দেশের মঙ্গল হবে। ব্যবসায়ীরা উদ্বুদ্ধ হবেন। খেলাপি ঋণের দায় ভালো ঋণ গ্রহীতাদের ওপরও এসে পড়ছে। যা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য ভাবমূর্তির সংকট তৈরি করছে। দেশের একজন শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তার এ বক্তব্য কুঋণের যবনিকাপাত ঘটাতে পথ দেখাতে পারে বলে আমাদের ধারণা। সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার ঔদর্যতা দেখিয়েছে। এর ফলে ১৫-১৬ শতাংশের বদলে বর্তমানে ৯-১১ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যায়। সৎ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ হলে দেশে শিল্প স্থাপনের গতি বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান। উন্নয়নের সুফল ভোগ করবে সমগ্র জাতি। এ লক্ষ্য পূরণে কুঋণের যবনিকাপাত ঘটাতে ব্যাংকগুলোকেও দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর