শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শীতে কাঁপছে দেশ

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

মধ্য পৌষের প্রচণ্ড শীত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে। শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। মৌসুমের শুরুতে এ বছর শীতের তীব্রতা ছিল কম। গত কয়েক দিনে তা তীব্র হতে শুরু করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের কারণে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ ভাইরাসজনিত রোগ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ঠাণ্ডা থেকে শিশু ও বয়স্কদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। ঠাণ্ডার কারণে শিশু ও বয়স্কদের হালকা গরম পানি সেবন করানো উচিত। শীতকালে ফুসফুসে জীবাণু সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। শীতে বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আগে থেকে যারা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস শ্বাসরোগে ভুগছেন তাদের রোগ শীতে জটিল হয়ে ওঠে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ও জীবাণু বহনকারী রোগীদের যত্রতত্র কাশি না দেওয়াই উচিত। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় প্রচণ্ড শীতে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। নির্বাচন প্রার্থী এবং তাদের সক্রিয় সমর্থকদের কথা অবশ্য আলাদা। শীতে প্রতিবারের মতো এবারও গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতার্তদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। তবে চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় তা সব গরিব-দুঃখী মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বাস্তবতা মনে রেখে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সমাজের সম্পন্ন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য এই মূল্যবোধে একে অন্যের সহায়তায় এগিয়ে এলে গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘব সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর