সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদায় ২০১৮ সাল

সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক

স্মৃতিবিজড়িত ২০১৮ সালের আজ শেষ দিন। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেবে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের এই স্মরণীয় বছরটি। ২০১৮ সাল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে নানা কারণে গুরুত্বের অধিকারী। জাতীয় জীবনে ২০১৮ সাল বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশাজাগানিয়া বছর হিসেবে বিবেচিত হবে। এ বছরের শেষার্ধে ৩০ ডিসেম্বরের অংশগ্রহণমূলক অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে উন্নয়ন ও জাতীয় অগ্রগতির পক্ষে দেশবাসীর নিরঙ্কুশ রায় পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দেশের অর্থনীতিতে ২০১৮ সাল সাফল্য ও দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার বছর হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত করার সাফল্য অর্জিত হয়েছে বিদায়ী বছরে। একের পর এক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও পদ্মা সেতুসহ একসঙ্গে বহুসংখ্যক বড় ধরনের প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে এই সময়ে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মুখে। বিদায়ী বছর ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বছর। সংঘাতের বদলে বিদায়ী বছরে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সরকারি দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সফল বৈঠক ছিল আশাজাগানিয়া ঘটনা। যার ফলশ্রুতিতেই সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়। বিদায়ী বছরটি ছিল জঙ্গিবাদের সঙ্গে ১৭ কোটি মানুষের লড়াই অব্যাহত রাখার বছর। গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলা জাতির জন্য যে লজ্জা বয়ে এনেছিল তা ঝেড়ে ফেলতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাফল্য ছিল আশাজাগানিয়া। একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে জঙ্গিবাদবিরোধী সংগ্রামে জয়ী হওয়ার বিকল্প নেই। বিদায়ী বছরে অর্জিত সাফল্যগুলো যে কোনো মূল্যে আগামীতেও ধরে রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর