শিরোনাম
সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার

অসৎ আমদানিকারকদের সামাল দিন

বাংলাদেশ কাগজ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, এদেশের মানসম্মত কাগজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তারপরও বিকাশমান কাগজ শিল্পের পথ কণ্টকিত হয়ে উঠছে নানা অজুহাতে কাগজ আমদানির ঘটনায়। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পে ব্যবহারের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজের সিংহভাগই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে খোলাবাজারে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে কালোবাজারে শুল্ক সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ বিক্রির মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আত্মসাৎকারী চারটি প্রতিষ্ঠানের অপকর্ম তুলে ধরা হয়েছে। ইপিজেড ও কাস্টমস সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মোংলা ইপিজেডের মুন স্টার, সৈয়দপুর ইপিজেডের ফারদিন এক্সেসরিস ও কোয়েস্ট এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের ওয়েবকোয়াট নামের এ চারটি বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্ত কাগজ জাতীয় পণ্য রাজধানীর নয়াবাজারে কয়েক দফা বিক্রি করেছে। এর আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে। কিন্তু কোনো ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় আবার চোরাকারবারিতে জড়িয়ে পড়েছে ওই চার প্রতিষ্ঠান। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা কাগজ কালোবাজারে বিক্রির ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার পাশাপাশি এ চৌর্যবৃত্তি দেশের কাগজ শিল্পের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। দেশে কাগজকলের সংখ্যা শতাধিক এবং তাদের উৎপাদন ক্ষমতার এক বড় অংশই তারা ব্যবহার করতে পারছে না নানা অজুহাতে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানির কারণে। বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ কালোবাজারে বিক্রি হওয়ায় কাগজকলগুলো অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত কাগজ বাজারজাতের সময় কাগজকলগুলোকে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। বন্ড সুবিধায় আনা কাগজের ওপর শুল্ক না থাকায় দেশে উৎপাদিত কাগজের বিপরীতে সেগুলো কিছুটা সস্তায় বিক্রি করেও বিপুল পরিমাণ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে অসৎ আমদানিকারকরা। দেশের কাগজ শিল্পের ভবিষ্যৎও তাতে কণ্টকিত হয়ে পড়ছে।  এ অবস্থার অবসানে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে সরকারকে তৎপর হতে হবে।  এ প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর