রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন থেকে ঘোষণা ছাড়া বিমানবন্দরে কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢুকলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। অস্ত্রধারী যাত্রী যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অস্ত্র নিয়ে পরপর দুটো অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। যাত্রীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনে আইকাও গাইড অনুসরণের বিন্দুুমাত্র ত্রুটি পাওয়া গেলে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। রবিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমে মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনায় সেলিব্রেটি ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা দেহ ও লাগেজ তল্লাশির সময় বিরক্তবোধ করলে তাদের হ্যান্ডল করার কৌশল, হ্যান্ডব্যাগে খেলনা পিস্তল পাওয়া গেলেও তা রেখে দেওয়া, জনবল বাড়ানো, যেখানে প্রয়োজনীয় লোকবলের ঘাটতি আছে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্মর্তব্য, চট্টগ্রামে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা এবং ঢাকা বিমানবন্দরে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্যাগে পিস্তল থাকা সত্ত্বেও তা স্ক্যানারে ধরা না পড়ার ঘটনা দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সংশয় সৃষ্টি করে। এ সংশয়ের অবসানে শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও নিñিদ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘোষণা ছাড়া কেউ অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকলে অস্ত্রধারী যেই হোক তাকে গ্রেফতার এবং কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের গাফিলতি বন্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে সিভিল এভিয়েশনের এসব পদক্ষেপ বিমানবন্দর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যবস্থার মানসম্মত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সিদ্ধান্তটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক সোনা ও মাদক চোরাচালানেও আঘাত হানা সম্ভব হবে। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকি নিশ্চিত করাও জরুরি।