মাছ মাংস তরিতরকারি সব কিছুর দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। সবজির দাম গত তিন সপ্তাহে বেড়েছে গড়ে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি। মুরগির দাম বেড়েছে গড়ে ২৫ ভাগ, মাছের দামও বেড়েছে গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, টমেটোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে তিন সপ্তাহ আগে যে ফুলকপির দাম ছিল ১৫ টাকা তা এখন ৫০ টাকায় ঠেকেছে। শিমের দামও বেড়েছে তিনগুণ। বেগুনের দাম গড়ে দ্বিগুণ। কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে ঠিকমতো না ওঠা পর্যন্ত সংকট অব্যাহত থাকবে এমনটিই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবজি মাছ মাংসের দাম বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে দায়ী বৃষ্টিপাতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়া। বছরের এ সময় মাছের দাম বৃদ্ধি পায়। এবার চাষের কই ও পাঙ্গাশ ছাড়া অন্য সব মাছের দাম সীমা অতিক্রম করেছে। এর প্রভাব পড়েছে বয়লার মুরগির দামে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে গেছে। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বাড়তি মূল্যে পণ্য কেনা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থার মোকাবিলায় পণ্যমূল্য সহনশীল রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। পণ্য আনার ট্রাক মহাসড়কগুলোতে যাতে চাঁদাবাজির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। দেশবাসীর কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সন্দেহ নেই বর্তমান সরকারের আমলে গত এক দশকে সাধারণ মানুষের আয় বেড়েছে। বেড়েছে তাদের জীবনমান। সে সুফল যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে নিত্যপণ্যের বাজার সহনশীল রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম যাতে কোনো অজুহাতে কেউ বাড়াতে সাহস না পায় সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। নিজেদের স্বার্থেই সরকার নিত্যপণ্যের বাজার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করবে এমনটিই প্রত্যাশিত।