চলতি বছরই রাজধানীতে চালু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। এটি চালু হলে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর অর্থাৎ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ চালুর মাধ্যমে মেট্রোরেল যুগের সূচনা হলেও এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে আগামী বছর ২০২০ সালে। সে সময় এই রুটে মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে । দুই কোটি মানুষের মেগাসিটি রাজধানী ঢাকায় স্বচ্ছন্দে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে সরকার মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পের অধীনে নগরীজুড়ে অন্তত ছয়টি এমআরটি লাইন স্থাপন হচ্ছে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প, মিরপুর, পল্লবী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণের জন্য চেক বোরিং টেস্ট পাইল ও মূল পাইল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। ২০২০ সাল নাগাদ এটি সম্পন্ন হবে। উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন-৬-এর দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এই ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্টেশন হবে ১৬টি। এটি চালু হলে ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা যাবে। একই সময়ে উভয় দিকে ২৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কোচ। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে মেট্রোরেল। এ প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মাণ সময় কমিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লাইন-৬ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের ৬টি রুটের মধ্যে মেট্রোরেল লাইন-১ এর জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ লাইনটি বিস্তৃত হবে। এটি হবে মূলত পাতাল রেল। এমআরটি লাইন ২, ৩, ৪ ও ৫ এর ব্যাপারে চলছে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ। রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল লাইন চালু হলে স্বচ্ছন্দে যাতায়াতের সুযোগ পাবে নাগরিকরা। যানজটের নগরী হিসেবে ঢাকার যে দুর্নাম গড়ে উঠেছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোরেল ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করা যায়।