শিরোনাম
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশে ১০ লাখ অবৈধ বিদেশি

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি

বাংলাদেশে অন্তত ৩০ লাখ বিদেশি বাস করছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার হিসাবে রোহিঙ্গা ও বিহারি বাদে বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশির সংখ্যা ২১ হাজারের কম বলে অভিহিত করা হলেও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আবির্ভূত হয়েছে রোহিঙ্গারা। যাদের সংখ্যা অন্তত ১১ লাখ। তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে সেটিও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এর বাইরে ১০ লাখ বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। যাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পোশাক শিল্পের শ্রমিক বা অন্যান্য পদে কাজ করছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৫ লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। তারা তাদের দেশে এক বছরে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সমান। এ ছাড়া ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা বৈধপথে বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় নিয়ে যান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে এসব বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাসকারীদের মধ্যে পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া, ঘানা, কঙ্গো, তাইওয়ান, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, চীন, তানজানিয়া, আফ্রিকা, উগান্ডা ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাই বেশি। বাংলাদেশে ৮৫ হাজারের বেশি নিবন্ধিত বিদেশি ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। তাদের মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার বিদেশি আয়কর দেন। অর্থাৎ বাকি সাড়ে ৭২ হাজার বিদেশি কর ফাঁকিতে জড়িত। দেশে বিপুল সংখ্যক বিদেশির অবস্থান দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে যাওয়ায় তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। বিদেশিদের ওপর নজরদারি না থাকায় দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে। অনেকেই টুরিস্ট ভিসায় এসে তাদের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর