সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রতিদিন মৃত্যুর খবর শুনতে চাই না

পরিবহন চাঁদাবাজদের সঙ্গে আপস নয়

সড়কে মৃত্যুর ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। প্রতিদিনই মানুষের মন আক্রান্ত হচ্ছে বিষাদে। দেশের মানুষ এমন মৃত্যু দেখতে চায় না। কিন্তু সে দুর্ভাগ্য থেকে তারা রেহাই পাচ্ছে না কয়েক ব্যক্তির অশুভ জোটের কাছে দেশের পরিবহন খাত জিম্মি থাকার কারণে। রাজনীতির ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী শিবিরের অংশ হলেও চাঁদাবাজির স্বার্থে তারা পরিবহন নিয়ন্ত্রণে ঐক্য গড়ে তুলেছেন নিজেদের মধ্যে। তাদের কারণেই পরিবহন নৈরাজ্যের ইতি ঘটছে না। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকার যে আইন করেছে তা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে। এই আইনের ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে পরিবহন চাঁদাবাজির কুশীলবরা। অভুত সব দাবি জানাচ্ছে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে। নতুন আইনে হালকা লাইসেন্স ব্যবহার করে ভারী গাড়ি চালালে শাস্তির যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে তারা আপত্তি জানাচ্ছে। তাদের আবদার যে কোনো ধরনের লাইসেন্স থাকলেই গাড়ি চালানোর অধিকার দিতে হবে। দুর্ঘটনায় গাড়ির যাত্রী ও পথচারীর জীবন গেলেও চালকের জামিনের বিধান থাকতে হবে। অভিযুক্ত হলে শাস্তির পরিমাণ কমাতে হবে। নতুন আইন করা হয়েছে সড়ক নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে। পরিবহন মালিক, চালক, পথচারী সবাইকে আইনের আওতায় আনতে। আইনের মূল উদ্দেশ্য থাকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যেই আইন ভঙ্গকারীদের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়। যেমন ইচ্ছা তেমন চলার স্বাধীনতা দিলে আইনের কোনো প্রয়োজন হয় না। পরিবহন খাতের অশুভ সিন্ডিকেটের হোতারা যথেচ্ছতার যে অধিকার দাবি করছে তা কোনো সভ্য দেশে, সভ্য সমাজে কল্পনা করাও কঠিন। পরিবহন সংশ্লিষ্ট চাঁদাবাজ জোটের কুশীলবদের দাবির কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। নিজেদের সভ্য দেশ ও সমাজের অংশ হিসেবে ভাবতে চাইলে পরিবহন খাতে যথেচ্ছতার অধিকার দাবিকারী অশুভ জোটকে পরাস্ত করতে হবে। পরিবহন মালিক, চালক, পথচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে আইন মানতে হবে।

সর্বশেষ খবর