শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানিতে ধস

দক্ষ কর্মী তৈরির উদ্যোগ নিন

বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি এক বছরেই ১০ শতাংশ কমেছে। রেমিট্যান্স আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ বলে বিবেচিত। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েনি রেমিট্যান্স আয়ের কারণে। খাতাপত্রে গত এক বছরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১৭ শতাংশ বাড়লেও জনশক্তি রপ্তানিতে ভাটার লক্ষণ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে যেমন আসে তেমন আসে হুন্ডির মাধ্যমেও। প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানো লাভজনক মনে করায় এ বছর তার সুফল অনুভব করা যাচ্ছে। তবে এটিকে প্রকৃত অর্থে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়া বললে ভুল হবে। অভিবাসনসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৬ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর কর্মী প্রেরণের হার গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কমবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। নারী কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও অনেক নারী কর্মীর দেশে ফিরে আসার পরও চলতি বছর বিদেশে নারী কর্মী যাওয়ার প্রবাহ কমার বদলে বরং ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের মতো নারী কর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। মোট অভিবাসী কর্মীর প্রায় ৬০ শতাংশই গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটিতে। এরপর গেছেন ওমানে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মী গিয়েছিল মালয়েশিয়ায়। ওই বছর দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী গিয়েছিলেন। কিন্তু সিন্ডিকেট করে বেশি খরচে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অভিযোগে দেশটি কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছে। এ বছর কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমার এটিও অন্যতম কারণ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি বিসংবাদ বিরাজ করছে দক্ষতার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজের জন্য যান। যাঁরা অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে গড়ে মজুরি অর্ধেক বা তারও কম পান। রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে পাঠানোর আগে কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর