ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় অপ্রত্যাশিতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। নির্বাচন মানেই চায়ের পেয়ালায় ঝড়- এমনটি থাকবেই। কিন্তু হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হুমকি ও হামলার অভিযোগ এনেছেন ইতিমধ্যে। ঢাকা উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেছেন, রবিবার মিরপুর মাজার এলাকায় গণসংযোগের সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে একজন যুবদল কর্মী আহত হন। দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসও তাঁর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ করেছেন। রবিবার সকালে রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজার থেকে তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে তাপস বলেন, আর কে মিশন রোডে নির্বাচনী প্রচারণার একপর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায়ও তিনি গিয়েছেন। সেখানে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোট প্রার্থনাও করেছেন। সেখান থেকে চলে আসার পরই সন্ধ্যার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অতর্কিতভাবে তাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীসহ গণসংযোগে যাঁরা ছিলেন তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তিনি বলেন, সম্প্রীতি ও পরিবর্তনের রাজনীতির সূচনা করতে তাঁরা চান। আমরাও আশা করব সবাই সেই সূচনায় অংশগ্রহণ করবেন এবং একটা সুন্দর, সম্প্রীতির রাজনীতি ঢাকাবাসীকে উপহার দেবেন। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কেউ কেউ প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন দেশের দুটি বৃহত্তম স্থানীয় সরকার। দুই স্থানীয় সরকারে মেয়র পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দুই বৃহৎ দলের সমর্থন নির্বাচনে নতুন মাত্রা দান করেছে। নির্বাচনে হামলা-পাল্টা হামলার যে অভিযোগ উঠেছে তাকে বড় ঘটনা বলে অভিহিত করার সুযোগ নেই। তবে পরিস্থিতি যাতে খারাপের দিকে মোড় না নেয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনবিধি ভঙ্গের যে কোনো ঘটনাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে নিতে হবে।