ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং যথারীতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুই সিটিতেই মেয়র পদে বিপুল সংখ্যাধিক্যে জয়ী হয়েছে। কাউন্সিলর পদে সর্বসাকুল্যে বিএনপি দুটি, জাতীয় পার্টি ১টি, ইসলামী আন্দোলন ১টি বাদে সব কটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ অথবা একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও ভোটার উপস্থিতির হার ছিল হতাশাজনক। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী নির্বাচনে দক্ষিণ সিটিতে ২৯ এবং উত্তরে ২৫ পয়েন্ট ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। শনিবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মেয়র আতিকুল ইসলাম আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণ ঢাকা নতুন মেয়র হিসেবে পেয়েছে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে। বিরোধী দল বিএনপি দুই সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রবিবার হরতাল আহ্বান করেছিল। তবে হরতালে যানবাহন চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। ভোটযুদ্ধের মতো ভোট প্রত্যাখ্যানের কর্মসূচিতেও তারা যে ব্যর্থ হয়েছেন তা স্পষ্ট। ঢাকা এ মুহূর্তে জনসংখ্যায় দুনিয়ার শীর্ষ স্থানীয় মেগা সিটিগুলোর একটি। পরিবেশ দূষণ ও যানজটের সমস্যায় ভোগা এই মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশনে যারা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সামনে ঢাকাকে মানুষের বসবাস উপযোগী নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কঠিন চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ওপর তাদের সুনাম নির্ভর করবে। নির্বাচনে দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রায় নিরঙ্কুশভাবে যেহেতু আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে সেহেতু ঢাকার উন্নয়ন ও বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সরকারি দলকেও দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকার উন্নয়নে মেয়র এবং কাউন্সিলরা যাতে নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে তাদের ওয়াচ ডগ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নয়ন কাজ যাতে দুর্নীতিমুক্ত হয় সে বিষয়েও তীক্ষè নজর রাখা দরকার। সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের আমরা অভিনন্দন জানাই। বসবাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে তোলার প্রয়াসে তারা সফল হবেন আমরা এ শুভ কামনাই জানাতে চাই।