এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় দেশজুড়ে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ পরীক্ষার্র্থী অংশ নিচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ পাবলিক পরীক্ষার জন্য এক মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার। শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো শিক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারের নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন কেন্দ্র সচিব। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবার নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত মোবাইলফোন বা ইলেকট্র্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে। নিñিদ্র নিরাপত্তা ও যে কোনো ধরনের অসাধুপায় এড়াতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া আর কারোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক প্রশ্নপত্রের সেট ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে সরবরাহ করা হলেও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানিয়ে দেওয়া হবে কোন সেটে পরীক্ষা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অনুসরণ করা হবে জিরো টলারেন্স নীতি। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য আমাদের শুভ কামনা।