শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক : উৎকণ্ঠা, অস্বস্তি এবং লজ্জা

সৈয়দ বোরহান কবীর

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক : উৎকণ্ঠা, অস্বস্তি এবং লজ্জা

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে বাংলাদেশে উৎসব হবে এটাই স্বাভাবিক। জাতির পিতার জন্যই এই বাংলাদেশ। জাতির পিতার জন্যই আমরা প্রত্যেকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক। কিন্তু উৎসবের নামে এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে তা হলো অরুচিকর উৎকট তৈল মর্দন প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অতি উৎসাহী একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী জাতির পিতাকে পদে পদে অপমান করছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে একশ্রেণির অতি উৎসাহী যেন দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর হত্যার আয়োজন করছে। একটি মন্ত্রণালয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে ৩২ কোটি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়ে দেয়, মুজিববর্ষ উদ্যাপনের জন্য আলাদাভাবে কোনো টাকা দেওয়া হবে না। স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে মুজিববর্ষ উদ্‌যাপন করতে হবে। এ চিঠি পাওয়ার পরপরই ওই মন্ত্রণালয় বাজেট পুনর্নির্ধারণ করে ১৯ লাখ টাকা। বুঝুন তাহলে! টাকা পেলে আছি, না পেলে নাই। এটা মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে, না টাকা ওড়ানোর উৎসব- সে প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুজিববর্ষের নামে যথেচ্ছ অপচয়ের লাগাম টেনে ধরেছেন। তিনি বাড়াবাড়ি অর্থের অপচয় না করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুজিববর্ষ নিয়ে যে উৎসবের আয়োজন তা দেখে শুরু থেকেই আমাদের মতো আমজনতার ভিরমি খাওয়ার অবস্থা।

প্রথমেই, মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার কথা বলতে হয়। ১০ জানুয়ারির আবহ আনতে যে লেজার শো করা হয়েছিল, তা বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের লেজার শোর চেয়েও নিম্নমানের। এর মাধ্যমে জাতির পিতাকে অপমান করা হয়েছে। এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এরপর বিপিএলের নামে যা হলো তাও এক কৌতুক। বিপিএলের উদ্বোধনী পর্বে যে উপস্থাপক দম্পতিকে হাজির করা হয়েছিল, তারা পাড়ার অনুষ্ঠানেও উপস্থাপনার যোগ্য নন। এদের একজন গায়ক, অন্যজন ইংরেজি সংবাদ পাঠিকা। কোন বিবেচনায়, কার তদবিরে এ রকম একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার দায়িত্ব তারা পেলেন, এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হতে পারে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল। এ নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। এমন সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেসব দেশের নাম শুনলেই মনে হয়, এরা ফুটবল খেলে কবে থেকে?

তবে, মুজিববর্ষে সবচেয়ে বড় প্রহসনটি এখন মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতার ওপর একটি বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় এ ছবি নির্মাণ হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। শুধু বায়োপিক নয়, তাঁর জীবন, রাজনীতি, ভালোবাসা, তাঁর হত্যাকান্ড এসব অনেক বিষয় নিয়েই কালজয়ী অনেক ভালো ছবি নির্মিত হতে পারে, হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। শুধু এটুকুই নয়, বিশে^র সর্বকালের সেরা রাজনীতিবিদদের তালিকা করলে, তাতে অনিবার্যভাবে বঙ্গবন্ধুর নাম আসবেই। এ রকম একজন মহামানবকে নিয়ে একটি নয়, বহুমাত্রিক সিনেমা হওয়া দরকার। আবার বঙ্গবন্ধুর ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা জরুরি। ছবিটা যেন মানুষ গ্রহণ করে, সিনেমাটা যেন আরোপিত না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা দরকার। এ রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে যখন ছবির পরিচালক হিসেবে শ্যাম বেনেগালের নাম ঘোষণা করা হলো তখন বেশ অবাক হলাম। যারা শ্যাম বেনেগালকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করেছেন তারা সম্ভবত আধুনিক চলচ্চিত্র, এর পরিবর্তন, গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখেন না। শ্যাম বেনেগাল একসময় বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের জন্য আলোচিত ছিলেন। ৮৫ বছর বয়সী এই মানুষটি এখন রীতিমতো অবসরে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ‘ওয়েল ডান আব্বা’ শিরোনামে একটি রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন। বড় পর্দায় কাজ না পেয়ে শ্যাম বেনেগাল রাষ্ট্রীয় অনুদান এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছোট পর্দার জন্য কিছু টিভি সিরিজ বানান। এর মধ্যে ‘সংবিধান’ শিরোনামে ১০ পর্বের একটি টিভি সিরিজ রাজ্যসভা টিভিতে প্রচারিত হয়। নিম্নমানের কারিগরি শৈলী এবং দায়সারা নির্মাণের জন্য এটি ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ কথা অস্বীকার করায় উপায় নেই, প্রথম জীবনে শ্যাম বেনেগাল বেশকিছু ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৭৫ সালে তাঁর নির্মিত ‘অঙ্কুর’, ’৭৭-এ নির্মিত ‘মন্থন’ খুবই উন্নতমানের ছবি। ’৮৪ সালে তিনি ‘নেহরু’ ও ’৮৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। এখানে মনে রাখা দরকার, বায়োপিক আর প্রামাণ্যচিত্র এক জিনিস নয়। এমনকি নেতাজি সুভাষ বসুর ওপর নির্মিত তাঁর ফিচার ফিল্ম ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস : দ্য ফরগটন হিরো’ও মূলধারার চলচ্চিত্র নয়। সিনেমা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি মাধ্যম। সত্যজিৎ রায়ে ‘পথের পাঁচালী’ কিংবা আলফ্রেড হিচককের ‘দ্য বার্ড’ কালোত্তীর্ণ ছবি। কিন্তু এখনকার প্রযুক্তি, ক্যামেরাসহ চলচ্চিত্র নির্মাণের যাবতীয় কৌশলও সম্পূর্ণ নতুন। সত্যজিৎ রায় যদি বেঁচে থাকতেন এবং আবার পথের পাঁচালী বানাতেন তাহলে নিশ্চয়ই এভাবে বানাতেন না। এখন চলচ্চিত্রের গল্প বলার ভঙ্গি, কারিগরি বিষয় অনেক পাল্টেছে। হলিউডের মেগা মুভির কথা বাদ দিলাম, ফ্রোজেন টুর অবিশ^াস্য অ্যানিমেশনের কথা নাই বা আনলাম, ভারতের চটুল হিন্দি সিনেমায় এখন যে ধরনের কারিগরি বিষয়গুলো আসছে তা চলচ্চিত্রশিল্পকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ‘বাহুবলী’র দুই পর্বে যেভাবে অ্যানিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে তা বিস্ময়কর। শ্যাম বেনেগাল, অত্যন্ত পূজনীয় ব্যক্তি। চলচ্চিত্রে বিকল্পধারার তিনি একজন অগ্রণী নির্মাতা। ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধ ইতিমধ্যে আজীবন সম্মাননা পেয়ে গেছেন। আজকের সিনেমার বাজারে তিনি সেকেলে, পরিত্যক্ত।

চলচ্চিত্র হলো নতুন সৃষ্টির উন্মাদনা। এক ধরনের উদ্ভাবনী শিল্প। একটি আবিষ্কার। বিশ্ব চলচ্চিত্রে এখন চলছে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। শ্যাম বেনেগাল চাইলেও এসব নিরীক্ষা করতে পারবেন না। এজন্যই চলচ্চিত্রশিল্পকে বলা হয় চিরনতুনের শিল্প। আর এ কারণেই অস্কারে জোকারকে হটিয়ে কোরীয় ছবি ‘পাইরেট’ বাজিমাত করে। শ্যাম বেনেগাল তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে হয়তো বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি চলচ্চিত্র বানাতে পারবেন, কিন্তু তা সত্যি একটি ভালো ছবি হবে কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে যখন এ বায়োপিকের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৫০ জনের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এদের দু-একজন ছাড়া কেউই এ রকম কাজের জন্য উপযুক্ত নন। বায়োপিক, কেবল অভিনয় করলেই হয় না। বায়োপিক একটা চরিত্রে অভিনয়শিল্পীকে ঢুকতে হয়। ইতিহাসে আলোচিত বায়োপিকগুলোর একটি ‘গান্ধী’। ১৯৮২ সালে গান্ধী নির্মিত হয়েছিল। সে বছর অস্কারে এ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতাসহ আটটি পুরস্কার পেয়েছিল। বক্স অফিস কাঁপিয়ে দেওয়া ওই ছবিতে গান্ধী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বেন কিংসলে। অস্কার জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে বেন বলেছিলেন ‘এ চলচ্চিত্র করতে গিয়ে আমার পুনর্জন্ম হয়েছিল। বেন কিংসলে থেকে আমি গান্ধী হয়েছিলাম। আমি গান্ধীকে আত্মস্থ করেছিলাম।’ গান্ধী ছবিতে বেন কিংসলে ভারতীয় নাগরিক ছিলেন না। ছিলেন আন্তর্জাতিকমানের অভিনেতা। প্রথম কথা হলো, এ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে নেওয়া হয়েছে এমন এক অভিনেতাকে যিনি অনেক কিছুই করেন। সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন- কীসে নেই? এ রকম একজন বহুচর্চিত, বহুদর্শনে দর্শক একঘেয়েমিতে আকীর্ণ একজন ব্যক্তি কি বঙ্গবন্ধুর মতো মহামানবের চরিত্রের জন্য উপযুক্ত? আরেফিন শুভ একজন ব্যস্ত অভিনেতা। চটুল প্রেমের গল্পে মিষ্টি নায়ক হিসেবে যার ইমেজ। তিনি কি বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগী, হিমালয়সমান উচ্চতার এক ব্যক্তিত্বকে ধারণ করতে পারবেন? কাউকে ছোট করা বা কাউকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু এটুক বলতে চাইÑ বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের নামে দায়সারা, অগোছালো কোনো চলচ্চিত্র বানানো হবে তাঁকে অপমান করা।

এ প্রসঙ্গে গান্ধীর পরিচালক রিচার্ড এডেনবার্গের একটি বক্তব্য স্মরণ করতে চাই। অস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন ‘গান্ধী নির্মাণ ছিল একটি সাধনা। আমি বছরের পর বছর এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এর জন্য পাঁচ বছর আমরা সবাই (গান্ধী টিম) পরিশ্রম করেছি।’ আমি বোঝাতে চাইছি, একটি বায়োপিক নির্মাণের জন্য দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, দক্ষ টিম, গভীর গবেষণা। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণের ক্ষেত্রে এসবের কোনো বালাই নেই।

হলিউডে এ ধরনের আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আলাদা টিম আছে। তারা গবেষণা করে, পান্ডুলিপি তৈরি করে, চরিত্র বাছাই করে, প্রযুক্তির দিকগুলো ঠিক করে। এটা একটা দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং বিশেষায়িত দক্ষতার ব্যাপার। অবসরে যাওয়া একজন পরিচালক (যিনি কিনা এখন তাঁর সহকারী পরিচালকদের দিয়ে কাজ সারেন) এ কাজ কতটা করতে পারবেন? এটা যে তিনি পারবেন না, তার প্রথম প্রমাণ ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। এ চলচ্চিত্রের জন্য যাদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, সেই তালিকা দেখে সাধারণ মানুষই বিরক্ত। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, ‘গান্ধী’ বিশাল বাজেটের ছবি। অত বাজেটের ছবি আমরা বানাব কীভাবে? গান্ধী ছবির বাজেট ২২ মিলিয়ন ডলার। যে দেশ থেকে হাজার হাজার ডলার পাচার হয়ে যায়, যে দেশে কিছু লুটেরা হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে যায়, যে দেশে ৮০০ টাকার বালিশ ৮০ হাজার টাকায় কেনা হয়- সে দেশে একটি ছবি বানানোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে না কেন? তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই, গান্ধীর মতো চলচ্চিত্র বানানো নানা কারণে অসম্ভব, তার পরও আমরা প্রশ্ন করতেই পারি, এভাবে কেন? হলিউডে যাওয়ার দরকার নেই, ভারতে এখন বায়োপিকের ছড়াছড়ি। দু-একটি বাদ দিয়ে অধিকাংশ জীবনীভিত্তিক ছবিই সুপারহিট। সমালোচকদের কাছেও প্রশংসিত। ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে ২০১৬ সালে নির্মিত হয় ‘এম. এস. ধোনি : দ্য আনটোল্্ড স্টোরি’, ২০১৩ সালে ভারতীয় আরেক ক্রীড়াবিদ মিলখা সিংহের জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ও সুপারহিট। নীরজা, মেরি কম, দঙ্গল, সরদার, শহীদ, কিংবা সঞ্জুর মতো ছবির গল্প বলার ভঙ্গি, কারিগরি মান অনেক ভালো। ভারতে এখন অনুরাগ বসু, রাজকুমার হিরানি, আশুতোষ গোয়ারিকর, সঞ্জয় লীলা বনশালির মতো বিশ^মানের নির্মাতারা কাজ করছেন। চলচ্চিত্রে তারা নতুন নতুন ডাইমেনশন আনছেন। এ রকম কোনো আধুনিক কাজ করছেন এমন কাউকে দিয়েও তো এ চলচ্চিত্র বানানো যেত। সব বাদ দিলাম, আমাদের অমিতাভ রেজাকেও যদি এ কাজটা দেওয়া হতো, তিনিও পরম মমতায়, ভালোবাসা আর আবেগ উজাড় করে দিয়ে সিনেমাটি বানাতেন বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশে এখন কান পাতলেই নানা সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। পিয়াজের সিন্ডিকেট থেকে ব্যাংক লুটেরাদের সিন্ডিকেট। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়েও এ রকম সিন্ডিকেটের কথা শুনি। কিছু সুযোগসন্ধানী এ বায়োপিকের নামে লুটপাটের উৎসব করছেন কিনা কে জানে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর