বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

গার্মেন্টকান্ড

দায়িত্বহীনতার অবসান হোক

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার গণভবনে ক্ষুদ্র পরিসরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দেন। বৈঠকসূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে গার্মেন্ট কারখানার ছুটি ও শ্রমিকদের ঢাকা থেকে চলে যাওয়া এবং পুনরায় ফিরে আসার প্রসঙ্গ তুলে আলোচনার সূত্রপাত করেন। বলেন, প্রথমে গার্মেন্ট ছুটি দেওয়া হলো। শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেল। সরকার সাধারণ ছুটির সময়সীমা বাড়াল। কিন্তু গার্মেন্ট কারখানার মালিকরা তা দেখলেন না। তারা ৫ এপ্রিল কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসেন। গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকার পরও কার নির্দেশে, কার পরামর্শে শ্রমিকদের ঢাকা নিয়ে আসা হলো? রাতে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তাদের গ্রামের পথে আবার ফেরত পাঠানো হলো। দেশের এ পরিস্থিতিতে সমন্বয় ছাড়া গার্মেন্ট খোলা এবং  শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসার ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। এ পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গার্মেন্ট কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-সংশ্লিষ্ট কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দায়ী করেন। নির্দেশ দেন যেসব কারখানা মাস্ক, পিপিই-জাতীয় পণ্য তৈরির সঙ্গে যুক্ত সেগুলোই শুধু খোলা থাকবে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মকানুন মানাতে সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর হতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ এবং করোনা প্রতিরোধের দিকনির্দেশনা খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যের দাবিদার। এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলনামূলক বিচারে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকলেও সামান্য অবহেলায় বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। গার্মেন্টকা- দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিমধ্যে হুমকি সৃষ্টি করেছে।

এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সবারই উচিত আবশ্যিক ঘরে থাকার নির্দেশনা মেনে চলা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর