সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

পোলট্রি শিল্পের দুরবস্থা

প্রণোদনার উদ্যোগ নিন

গার্মেন্ট শিল্পের পর পোলট্রি শিল্পে দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ নিয়োজিত। আমিষ চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে এ শিল্পের অবদান অনন্য। এ শিল্প লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মুরগি ও ডিম কেনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থার শিকারে পরিণত হয়েছে পোলট্রি শিল্প। সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে সম্ভাবনাময় পোলট্রি শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লাখ লাখ মুরগি, ডিম ও বাচ্চা অবিক্রীত থাকায় খামার মালিকরা  লোকসানের শিকার হয়ে পথে বসতে চলেছে। লাখ লাখ শ্রমিকের বেতন সুবিধা আটকে গেছে। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে যানবাহন না চলায় এবং মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও কমে গেছে। মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা আর ডিম হালিতে ১২ টাকা। এক দিনে বাচ্চার দাম নেমেছে ৫ টাকায়। এতে হ্যাচারি মালিক এবং খামারি উভয়েই  লোকসান গুনছেন। লোকসানের মুখে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে খামার। খুচরা বাজারেও মুরগি, মাংস ও ডিম বিক্রি কমে গেছে। পোলট্রি শিল্পকে বাঁচাতে জরুরিভিত্তিতে প্রণোদনা দানের দাবি জানিয়েছেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলেছেন, অতীতে বারবার পোলট্রি শিল্প নানা সংকটে পড়লেও এবারের সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত এক মাস ধরে চলা অচলাবস্থায় ক্ষুদ্র খামারিরা ত্রিশঙ্কু অবস্থায় পড়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে যেহেতু লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের প্রশ্ন জড়িত সেহেতু তাদের জীবন-জীবিকার স্বার্থে সরকারকে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি পোলট্রি শিল্পের উপকরণ মুরগি ও ডিম সারা দেশে পরিবহন সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এর ফলে এ শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ খবর