রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি

মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

করোনাভাইরাসে বেকার হয়ে পড়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষ। সরকারি চাকুরে ছাড়া প্রায় সবারই জীবিকা বিপর্যস্ত। অথচ এই সময়ে অযৌক্তিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজা সামনে রেখে পিয়াজের দাম বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। চাল, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে সব ধরনের বোধগম্যতাকে উপেক্ষা করে। চলতি বছর দেশে বোরোর উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে উঠবে বোরো ধান। কিন্তু চালের দাম গত সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ শতাংশ এবং গত এক মাসের ব্যবধানে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। এই ভরা মৌসুমে পিয়াজ ও আদার দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে হু হু করে বাড়ছে রসুনের দামও। তবে সবজি, ডিম ও মুরগির দাম রয়েছে স্থিতিশীল। পিয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। দাম বেড়ে দেশি রসুন ১৪০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দাম নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর পাইকারি বাজার ও আড়তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের অভিযান চলছে। শুক্রবার পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পিয়াজের আড়ত ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালানো হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করে কারসাজির মাধ্যমে পিয়াজের দাম বাড়ানোর অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। সবজির বাজারে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। সরবরাহ রয়েছে সব ধরনের সবজির। দামও গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল। রোজার মাস সামনে রেখে পণ্যের দাম বাড়ানো এবং রোজাদারদের দুর্ভোগে ফেলাকে অসৎ ব্যবসায়ীরা কর্তব্য বলে ভাবে। এ বছর করোনাভাইরাসকে তারা অজুহাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। চাল, পিয়াজ, রসুন, আদার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ব্যবসায়ীদের শুধু জরিমানা নয়, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে গোপনে যে চাঁদাবাজি চলছে তা বন্ধেও হাত দিতে হবে। লুটপাটের প্রতীক হিসেবে টিসিবির যে বদনাম রয়েছে তা পাল্টানোরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

সর্বশেষ খবর