মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

দায়ী অব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অলিখিত কারফিউসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না অব্যবস্থাপনা-অসচেতনতার কারণে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর করোনার নতুন আখড়া হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম ঘনবসতির নগর গাজীপুর। এ ছাড়া নতুন করে উৎকণ্ঠার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দুই গ্রামের মারামারির পর লকডাউন উপেক্ষা করে এক বিশাল জানাজায় হাজার হাজার মানুষ যোগ দেওয়ায় তৈরি হয়েছে উৎকণ্ঠা। জানাজায় লাগামহীন লোকসমাগমের পর ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। স্বাস্থ্য খাত, গার্মেন্ট ও প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার জন্যই বাংলাদেশে থাবা বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে করোনা। জেলায় জেলায় লকডাউন থাকলেও মানুষ অবাধে চলাচল করায় সতর্কতা অবলম্বনের উদ্দেশ্যই ভেস্তে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্তরা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে মরণঘাতী ভাইরাস। এর আগে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রবাসীরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গাদাগাদি করেই কেনাকাটা চলছে, যা রোগ বিস্তারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের অসচেতনতার কারণে সরকার ও রোগ বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হলেও গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে মসজিদগুলোর জামাতে ও জুমার নামাজে মুসল্লিে ভিড় গড়ে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শুরুতেই মসজিদে সীমিত আকারে জামাতের নির্দেশনা জারি করলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও রোধ করা যেত। সাধারণ ছুটিতে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা ভেঙে উৎসবী মেজাজে গ্রামের বাড়িতে সপরিবারে যাওয়ার প্রবণতা সারা দেশকে করোনাভাইরাস নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে। আরও বিপদ এড়াতে প্রশাসনকে এখনই সতর্ক হতে হবে। কঠোর হওয়ার বিষয়টিও খুবই জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর