রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল

পাচার রোধ করতে হবে

দেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ পাচার হয়। কোনো একক দেশের পক্ষে মানব পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। রোহিঙ্গারা আসার কারণে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হচ্ছে। পাচার সমস্যা সমাধানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পদক্ষেপের পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো পৃথকভাবে পরিচালনার জন্য বিদ্যমান আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশের সাতটি বিভাগে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। নিয়মিত আদালত খোলার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বিভাগীয় শহরে স্থাপন করা মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হবে। এত দিন মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে দায়ের করা মামলাগুলোর বিচার হতো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। আইন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, নতুন গঠন করা মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়ার পর বিচারকরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এর পরপরই করোনাভাইরাসের কারণে সব আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু করার গতি কমে যায়। অন্যদিকে আইন প্রণয়নের প্রায় আট বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের’ ২১(১) ধারায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা বলা আছে। আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এ আইনে সংঘবদ্ধভাবে মানব পাচারের জন্য মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও সর্বনিম্ন সাত বছরের কারাদন্ড  এবং অন্যূন পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান আছে। এখন সারা দেশে মানব পাচারের ঘটনায় দায়ের করা প্রায় ছয় হাজার মামলা বিচারাধীন। সরকারের বাস্তবসম্মত এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। আমাদের আশা এ ট্রাইব্যুনাল জনমনের প্রত্যশা পূরণ করবে এবং মানব পাচার বন্ধ হবে।

সর্বশেষ খবর