মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাকালেও সড়ক দুর্ঘটনা

ট্রাফিক-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিন

সড়ক দুর্ঘটনায় কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। করোনাকালে যখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অধের্কেরও কম সেই সময়ে জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে ৩৬৮ জন নিহত ও ৫১৮ জন আহত হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২টির বেশি জীবন কেড়ে নিয়েছে ঘাতক ট্রাক বাস ও অন্য যন্ত্রদানব। দুর্ঘটনার সব তথ্য যেহেতু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় না সেহেতু বলা যায় হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। আহতের একাংশকে সারা জীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপে ভুগতে হবে। অবস্থা এমন যে, মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরবে সে নিশ্চয়তা পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল এবং এ নিয়ে খবরাখবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কেড়ে নিলেও তা বাস-ট্রাক চালকদের সংবেদনশীলতায় প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে, এমন কথা বলা খুব একটা অমূলক হবে না। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত অপরাধ রোধে যে আইন আছে তাতে অপরাধীর জন্য কড়া শাস্তির বিধান থাকলেও তার কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দেশের ট্রাফিকব্যবস্থার যাচ্ছেতাই অবস্থা। চালক, পথচারী সব ক্ষেত্রে আইন না মেনে চলার প্রবণতা এতটাই প্রকট যে আতঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। বাস ও ট্রাক চালকরা তো সড়কপথে যথেচ্ছতা প্রদর্শনকে নিজেদের অধিকার বলে ভাবেন। দেশের যানবাহন চালকের সিংহভাগ প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন। যানবাহনের তুলনায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা কম থাকা কোনো সুস্থতার প্রমাণ নয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব যাদের তাদের মধ্যে সততার সংকট থাকায় প্রশিক্ষিত চালক হলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে সে নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর