রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে দুর্দিন কেটে যাচ্ছে

জিইয়ে থাকছে এগিয়ে যাওয়ার আশা

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্বজুড়ে করোনাকালীন দুর্যোগের মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, যা এ শিল্পের মালিক কিংবা শ্রমিক শুধু নয়, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্যও আশাজাগানিয়া। পোশাকশিল্পে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ কর্মজীবী। সরাসরি ২ কোটির বেশি মানুষের ভাগ্য জড়িত এ শিল্পের ভালোমন্দের ওপর। পরোক্ষভাবে এ সংখ্যা যে আরও কয়েক লাখ বেশি তা সহজে অনুমেয়। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে পশ্চিমা দুনিয়ায় পোশাকের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদায়ী অর্থবছরের মার্চ থেকে জুন- এ চার মাসে পোশাক রপ্তানিতে মহাধস নামে। এ শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। কিন্তু করোনাকালেই ভোক্তা পর্যায়ের ক্রেতারা এখন অনলাইনে কেনাকাটা শুরু করেছেন। সার্বিকভাবে আগের তুলনায় পোশাক বিক্রি কমলেও নিজেদের অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে ভোক্তারা কম দামের পোশাকের দিকে ঝুঁকছে। ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। করোনাকালেও ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এ দুর্দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে বাংলাদেশের এক নম্বর অবস্থানে যাওয়া দেশের জন্য স্বস্তিদায়ক। এর ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি ডেনিম পণ্যের ভালো চাহিদার প্রমাণ মিলেছে। মার্কিন বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে চীন ও মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। দেশটিতে ডেনিম রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আগে থেকেই ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে আছে বাংলাদেশ। অবস্থানের এ উন্নতি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজকে নতুন উচ্চতা দেবে। বাংলাদেশের পোশাকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেও তা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও  ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের বাকি দিনগুলোতেও পোশাক রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। এটি সম্ভব হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে করোনাকালীন বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর