মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

রশিতে বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন

কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে

পথে ঘাটে, ট্রেন-বাসে তো বটেই, এমনকি বাসা, স্কুল-কলেজ বা কর্মস্থলে শিশু ও নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। নারী ধর্ষণ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে। মাঝেমধ্যে এসব অভিযোগে দু-চার জন গ্রেফতার হলেও অনেকেই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রভাবশালীদের দাপটে অনেকে মুখ বন্ধ করে থাকতে বাধ্য হয়। অথচ নারী নির্যাতন রোধে অনেক আইন আছে। প্রয়োগ দুর্বল। আর তা ছাড়া যেসব মামলা হয়, তা অনেক ক্ষেত্রে এমন দুর্বলভাবে সাজানো হয় যে অপরাধীরা শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যান। অপরাধীরা ফিরে এসে নির্যাতিতদের পুনরায় হুমকি দেন। শুক্রবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা, দুই মেয়ে, ছেলেসহ পাঁচজনকে প্রথমে কোমরে রশি বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে কিছু লোক। দ্বিতীয় দফায় তাদের উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে এনে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায় ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে সড়কে ঘোরানো হচ্ছে মা ও মেয়েকে। তাদের সামনে-পেছনে শত শত উৎসুক মানুষ। নির্যাতিত মা বারবার আকুতি জানান, ‘ও বাপ-ভাইয়েরা! আমাদের আর মারবেন না। আমাদের পরান বাঁচান। আমাদের পুলিশে দেন।’ নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চেয়ারম্যান তাদের পুলিশে দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তি গরু চুরির অভিযোগ এনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে শনিবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। গতকাল তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আইনের রক্ষক চেয়ারম্যান নারী নির্যাতনের মাধ্যমে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এর আগেও একাধিকবার মানুষের গায়ে হাত তুলে সমালোচিত হয়েছেন হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ

ছাড়া ভুক্তভোগীদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত

কর্তৃপক্ষীয় দায়িত্ব বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর