শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু অমরই থাকবেন

হাসানুল হক ইনু

বঙ্গবন্ধু অমরই থাকবেন

‘বেইমানের প্রাণভিক্ষা নাই; সাপের শেষ রাখতে নাই’- এ কথাটা স্মরণে রাখতে আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ওমর চাচা।

ওমর চাচার সতর্কবাণীর যথার্থতা অনুধাবন করতে পারলাম যখন ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হত্যা একটা বড় কলঙ্কজনক ঘটনা। একটা ঐতিহাসিক বিরাট বেইমানির ঘটনা। ১৯৭৫ সালে যখন এ কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে, তখন ওপারে কলকাতায় লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর বন্ধু কথাসাহিত্যিক মনোজ বসুকে ফোনে বলেন, ‘আসুন আমরা দুজনে বসে কাঁদি’। তাঁদের কান্না পেয়েছিল, আর বাংলাদেশের মানুষ স্তম্ভিত ও হতবাক হয়ে কাঁদতে ভুলে গিয়েছিল।

সাম্প্রতিককালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। ঘরের ভিতর থেকে শত্রুতা না করলে বাইরের শত্রু সুযোগ পায় না। সে সুযোগটা তারা করে দিয়েছিল।... পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যা করে নাই, ঘরের আপনজন হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা মানুষরাই জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে’ এটা মর্মান্তিক। এ বিশ্বাসঘাতকরাই পরাজিত পাকিস্তানপন্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

১৯৭৫ সালে শুধু একজন মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা ঘটায়নি। ঘাতকরা, অবৈধ দখলদাররা, সামরিক শাসকরা জাতির আত্মাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। সাম্প্রদায়িকতার ছুরিতে বিদ্ধ হয় জাতির আত্মা। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ’৭৫ থেকে ২১ বছরের সামরিক শাসন বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত করে রাখে। ’৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন তখন নির্বাসন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন শুরু হয়।

১৫ আগস্টের কলঙ্কজনক ঘটনা ছাড়াও বাংলাদেশের বুকে আরও চারটি কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে। তা হলো- ১৯৭১-এ মহাযুদ্ধের মাঠে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা, ’৭৫ থেকে উপর্যুপরি অবৈধ ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসনের ঘটনা, সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল চার নীতি ছেঁটে ফেলা ও সাম্প্রদায়িকতা আমদানি এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলার ঘটনা। এ পাঁচ কলঙ্কের ছাপ ললাটে নিয়ে তাই বাংলাদেশ এগোনোর চেষ্টা করছে।

আজও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতার ছুরিতে বিদ্ধ জাতির আত্মার রক্তক্ষরণ ও পাঁচ কলঙ্ক মোছার কঠিন সংগ্রামের ভিতর বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবস পালন করছে। এখনো সাম্প্রদায়িকতার, সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মোছা শেষ হয়নি। এখনো সামরিক শাসকদের ‘একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র’-এর গোঁজামিলতত্ত্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তির ধূম্রজাল ছড়াচ্ছে। এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে চিনলেই বাংলাদেশকে চেনা হবে। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন। বঙ্গবন্ধু হলেন একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি দেশ, বাঙালি জাতীয়তার একটি মহাকাব্য, একটি আন্দোলন, জাতি নির্মাণের কারিগর, ঠিকানা প্রদানের সংগ্রাম, একটি বিপ্লব, একটি অভ্যুত্থান, একটি ইতিহাস, বাঙালি জাতির ধ্রুবতারা : জাতির উত্থান, রাজনীতির কবি, জনগণের বন্ধু, রাষ্ট্রের স্থপতি, স্বাধীনতার প্রতীক, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

১৯৪৭ সালের ঐতিহাসিক ভুল শোধরান বঙ্গবন্ধু। যে হিন্দু ও মুসলিম ভারতে আলাদা হয়ে পড়ে, সেই তাদের সবাইকে একত্রিত করে এক অখ- বাঙালি জাতিতে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি মানুষ, আমি বাঙালি, আমি মুসলমান’। বাংলাদেশের জনগণকে বঙ্গবন্ধু তিন ধাপে তাদের পরিচয় সাজাতে বললেন- আগে মানবতা, তারপর জাতিসত্তা, তারপর ধর্ম। এটাই হলো বঙ্গবন্ধু রচিত বাঙালির বাংলাদেশ উত্থানের, প্রতিষ্ঠার, স্বশাসনের স্বাধীনতার মহাকাব্য। সবাই বাঙালি হয়ে গেল। সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের আলখাল্লা ফেলে দিল।

অসাম্প্রদায়িকতা, জাতিসত্ত্বা, উপনিবেশিকতা, বিদেশি দখলদারিত্ব প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ধারণা খুবই স্বচ্ছ ছিল। সুতরাং কেবল ধর্মের মাপকাঠিতে কখনই রাজনীতি সাজাননি। তাই দেশ স্বাধীনের আগে এবং পরে তিনি সেভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। নীতির প্রশ্নে কখনই দিধাগ্রস্ত ছিলেন না।

তাই ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আমি জানতে চাই, কেন সৌদি আরব স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি?’

বাদশাহ ফয়সাল বলেন, ‘আপনি সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে “ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ” করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু জবাব দেন, ‘এ শর্ত বাংলাদেশে প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের জনগণের প্রায় অধিকাংশই মুসলিম। আমাদের প্রায় ১ কোটি ভিন্নধর্মের নাগরিকও রয়েছে। সবাই একসঙ্গে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে বা যুদ্ধের ভোগান্তিতে পড়েছে। তা ছাড়া সর্বশক্তিমান আল্লহ শুধু মুসলিমদের জন্যই নন। তিনি বিশ্বব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা। তা ছাড়া আপনার দেশের নামও তো “ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি আরব” নয়। আরব বিশ্বের একজন গুণী ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ প্রয়াত বাদশাহ ইবনে সৌদের নামে নাম রাখা হয়েছে “কিংডম অব সৌদি আরব”। আমরা কেউই এ নামে আপত্তি করিনি।’

জাতির পিতার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বও ছিল বিস্ময়কর। নাইজেরিয়ার জেনারেল ইয়াকুব গাওয়ান যখন বললেন, ‘অবিভক্ত পাকিস্তান একটি শক্তিশালী দেশ, কেন আপনি দেশটাকে ভেঙে দিতে গেলেন!’ উত্তরে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শুনুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি! আপনার কথাই হয়তো ঠিক, অবিভক্ত পাকিস্তান হয়তো শক্তিশালী ছিল। তার চেয়েও শক্তিশালী হয়তো হতো অবিভক্ত ভারত। কিন্তু সেসবের চেয়েও শক্তিশালী হতো সংঘবদ্ধ এশিয়া, আর মহাশক্তিশালী হতো এক জোট এই বিশ^টি। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি! সবকিছু চাইলেই কি পাওয়া যায়?’

বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার ভিত্তিতে স্বশাসনের পক্ষে দাঁড়াতে ঘোষণা দিলেন; সামরিক স্বৈরতন্ত্র হটানোর কথা বললেন; গণতন্ত্রের ওপর দাঁড়াতে বললেন। গণসংগ্রাম-নির্বাচন-সশস্ত্র যুদ্ধ এ তিনের অপূর্ব সমন্বয় করলেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনকে গণরায়ে রূপান্তর করলেন। অসহযোগ আন্দোলনের নামে স্বশাসিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন। নিরস্ত্র জনগণের সশস্ত্র সংগ্রামের মানস গঠনের রাজনীতি উপহার দিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধু তাই আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক আর বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্তা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অনেক অবদান রয়েছে, কিন্তু যা বঙ্গবন্ধুকে আলাদাভাবে মহিমান্বিত করে, তা হলো, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা উপহার দেন, বাঙালিদের এক যোদ্ধা জাতিতে পরিণত করেন, আধুনিক বাঙালি জাতীয়তার জন্ম দেন এবং তার ভিত্তিতে একটি জাতিরাষ্ট্র তৈরি করে দেন এবং বঙ্গবন্ধু হলেন এক মহান রাজনৈতিক কৌশলবিদ।

সংস্কৃত প্রবচনে আছে-

‘রতœ কর্ষতি পুরঃপরমেক।

স্তদ গতানুগতিকো ন মহার্ঘ্য’

অর্থাৎ, ‘একজনই আগে পথ তৈরি করে দেন। পরে সে পথ দিয়ে যাতায়াত করার লোক দুর্লভ হয় না।’

বঙ্গবন্ধু হলেন সেই নেতা, যিনি ৪ হাজার বছরের এ ভূখন্ডের ইতিহাসে শুধু পথের দিশা দেন না, তিনি পথ তৈরি করে পথ ও পরিক্রমায় গন্তব্যও নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু তেমনই দ্রষ্টা ও স্রষ্টা। বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা পথ দিয়েই কোটি কোটি বাঙালি হাঁটছে এবং শেখ হাসিনা সে পথেই হাঁটতে হাঁটতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

ফরাসি লেখক মালরোর জীবনের শেষ রচনায় Rope and Mice-এ  লিখেছেন, একজন শিল্পীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, তাঁর পায়ের আঙ্গুলগুলো কোনোরকম একটু মাটি স্পর্শ করে আছে। শিল্পী তাঁর স্বভাব অনুযায়ী ওই অবস্থাতেই আঙ্গুল দিয়ে কয়েকটি ইঁদুরের ছবি আঁকেন। আর আশ্চর্যের বিষয় ইঁদুরগুলো অলৌকিকভাবে প্রাণ পেয়ে গেল এবং ফাঁসির রজ্জু কেটে শিল্পীকে মুক্ত করে দিল।

বঙ্গবন্ধুর পায়ের আঙ্গুলগুলো যদি মাটি স্পর্শ করত, তাহলে কী হতো? বঙ্গবন্ধু পায়ের আঙ্গুল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রই আঁকতেন। যে মানচিত্র জুড়ে থাকত বঙ্গবন্ধুর বিশাল শরীর। কবি রফিক আজাদের ভাষায়, ‘স্বদেশের মানচিত্র জুড়ে পড়ে আছে বিশাল শরীর।’

কবি বাবলু জোয়ার্দারের ভাষায়,

‘সে ছিল দীঘল পুরুষ-

হাত বাড়ালেই ধরে ফেলতো

পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল,

সাড়ে সাত কোটি হৃদয়,

ধরে ফেলতো বৈশাখী মেঘ অনায়াসে।’

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরে অবস্থান করেন। পালাননি। গ্রেফতার হন। তিনি ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কিন্তু আমার দেশবাসীকে পরিত্যাগ করে আমি কেমন করে যাব? আমি তাদের নেতা। আমি সংগ্রাম করব। মৃত্যুবরণ করব। পালিয়ে কেন যাব?’ তিনি সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কখনই পিঠ দেখাননি। সেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বন্দুক দেখে ঘাবড়ে যাননি, পিছটান দেননি। মাথা উঁচু করে হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘কী চাস?’ সব গুলি বুকে লেগেছে, একটা গুলিও পিঠে নয়। এই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান সাধারণ রাজনীতিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন, জাতির জনক...। পদত্যাগ নয়, দেহত্যাগই জাতির জনকের অন্তিম কর্তব্য।’ ... ‘স্বধর্মে নিধনং শ্রেয় ... কাঁদো প্রিয় দেশ। কাঁদো মুক্তিদাতা মুজিবের জন্য। তাঁর সেই পরিচয়টাই ইতিহাসে অমর হবে। কাঁদো তার সহমৃতা সাধ্বী সহধর্মিণীর জন্যেও, বালক পুত্রের জন্যেও। কাঁদো কাঁদো প্রিয় দেশ।’

কিন্তু এখনো দেশ কলঙ্কমুক্ত নয়। এখনো সাম্প্রদায়িকতার ছুরিকাবিদ্ধ জাতির আত্মার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যুদ্ধ এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন কেবল তখনই নিরাপদ হবে যখন বাংলাদেশের কপাল থেকে যুদ্ধাপরাধ, বঙ্গবন্ধু হত্যা, সামরিক শাসন, সংবিধান থেকে চার মূলনীতির বিসর্জন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা- এ পাঁচ কলঙ্কের ছাপ মোছা হবে, জাতির আত্মায় বিদ্ধ সাম্প্রদায়িকতার ছুরিটাকে সম্পূর্ণরূপে টেনে তুলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হবে। অপসৃত হবে বৈষম্যের পাহাড়। সে মাহেন্দ্রক্ষণেই বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে হাসতে হাসতে দাঁড়াবে।

২০২০-এর আগস্টে নিশ্চয় জনগণ স্বীকার করবে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে সমাজ থেকে নির্বাসিত করা যায়নি, ’৭৫-পরবর্তীতে নির্বাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার হাত ধরে স¦গৃহে প্রত্যাবর্তন করছেন, স্বমহিমায়। বাংলাদেশ আবার বাংলাদেশের পথে চলতে শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু অমর ছিলেন, অমরই থাকবেন।

লেখক : হাসানুল হক ইনু, এমপি, সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর