শিরোনাম
শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রসুলকে দুনিয়ায় আল্লাহ যে জন্য পাঠিয়েছিলেন

মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী

রসুলকে দুনিয়ায় আল্লাহ যে জন্য পাঠিয়েছিলেন

বড় অন্ধকার সময় পার করছি আমরা। যেখানে তাকাই, যেদিকে যাই, শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। আজকালকার আধুনিক সভ্যতার আধুনিক মানুষ এমন সব অপরাধ করছে যা আইয়ামে জাহেলিয়ার নির্দয় মানুষের নিষ্ঠুরতাকেও হার মানাচ্ছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আইয়ামে জাহেলিয়ায় মানুষ কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিত। আর আধুনিক জাহেলিয়ার মানুষ কন্যাসন্তানকে দুনিয়ায় আসার আগেই ভ্রূণ হত্যার মাধ্যমে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। ভারতে কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্টের প্রবণতা এত বেড়েছে যে, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে আরও বছর দশ আগে থেকেই। ভারতের মিডিয়ায় কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন নাটক-টেলিফিল্ম ও হৃদয়স্পর্শী বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এদিক থেকে আমাদের বাংলাদেশ এখনো গণহারে কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করছে না। তবে আলামত যা দেখছি, আমাদের দেশ ভারতের পথেই হাঁটছে।

ভারতে যখন কন্যাসন্তান নিজের ঘরেই ভাই-চাচা-বাবার হাতে সম্ভ্রমহানির শিকার হয় তখন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাবা-মা কন্যাসন্তান জন্ম হবে শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এবং কন্যাসন্তান ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলেন। আজ আমাদের দেশে কন্যাসন্তান নিয়ে আমরা যে ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি, বলতে কষ্ট হচ্ছে- বাবা-মায়ের সামনে স্বামীর সামনে সন্তানের সামনে ভাইয়ের সামনে নারীকে সম্ভ্রমহানি করছে একদল মানুষ নামের নিকৃষ্ট নরপশু। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কয়টি ঘটনা আর মিডিয়ায় আসে। আর সব ঘটনার কি সুষ্ঠু বিচার আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি? নারীরা লাঞ্ছিত হতে থাকবে তখন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাবা-মায়েরা চাইবে তাদের ঘরে যেন আর কোনো কন্যাসন্তান না জন্মায়। আমাদের দেশও নারীদের জন্য এক অনিরাপদ ভূখন্ড হয়ে উঠেছে। কথাটি খুব গর্বের সঙ্গে আমরা উচ্চারণ করি। কিন্তু জাহেলিয়ার কঠিন সময়ে রসুল (সা.) যেভাবে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ সমাজ নিরাপদ দেশ উপহার দিতে পেরেছেন আজ স্বাধীনতার এত বছর পরও কি আমরা নারীদের জন্য একটি নিরাপদ সমাজ-দেশ উপহার দিতে পেরেছি? আমি বলতে চাচ্ছি, নারীর মর্যাদা-সম্মান ও নিরাপত্তা দিতে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি।

লেখক : মুফাস্‌সিরে কোরআন।

 

সর্বশেষ খবর