বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতিবাদ

২৪ নভেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশ প্রতিদিনে জনাব কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আবারও আমাকে ভুলভাবে দোষারোপ করেছেন। সঠিক ও সত্য তথ্যগুলো পাঠক ও জনাব কাদের সিদ্দিকীর জন্য উপস্থাপন করছি।

১. সেলিম আল দীনের চিকিৎসার জন্য দুটি ফান্ড গঠন করা হয়। একটি দেশে খরচ বহন করার জন্য এবং অন্যটি  বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করার জন্য। দেশের চিকিৎসা ফান্ডে ১০ লাখের মতো এবং বিদেশের জন্য ৫০ লাখ টাকা সংগৃহীত হয়। এ ৫০ লাখের হিসাব হচ্ছে ফরিদুর রেজা সাগর ৩০ লাখ+আফজাল হোসেন ১০ লাখ+ বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা ৫ লাখ+নাসির উদ্দীন ইউসুফ ৫ লাখ। সব মিলিয়ে বিদেশে চিকিৎসা বাবদ ৫০ লাখ টাকা।

সেলিম আল দীনের  মৃত্যুর পর দেশীয় ফান্ডের ১০ লাখ থেকে খরচ ও অনেকে টাকা ফেরত নেওয়ার পর উদ্বৃত্ত  ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে শিমূল ইউসুফ   ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা যোগ করেন। সব মিলিয়ে ৭ লাখ টাকা নবগঠিত ‘শিল্পীমঙ্গল ফাউন্ডেশন’-এ জমা করা হয় এবং নানা সময়ে বিপদগ্রস্ত শিল্পীদের সাহায্যে ব্যয় করা হয়। যার অ্যাকাউন্ট তথ্য নিম্নরূপ : SHILPI MONGAL FOUNDATION ACCOUNT NUMBER : 0941101000001549 UNITED COMMERCIAL BANK NEW ESKATON BRANCH.

প্রয়োজনে কাদের সিদ্দিকী ও অন্যরা ব্যাংকে খোঁজ নিতে পারেন।

চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর, অভিনেতা আফজাল হোসেন, প্রয়াত বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা সেলিম ও আমি যে ৫০ লাখ টাকা বিদেশে সেলিমের চিকিৎসার জন্য জরুরি ফান্ডে জমা দিয়েছিলাম এবং তা সেলিমের মৃত্যুর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সবাই ফেরত নিয়েছিলাম। সেলিমের স্ত্রী নিঃসন্তান বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা প্রয়াত তাই তাঁর ভাই-বোনদের কাছে আমার কথার সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ করছি। আর ফরিদুর রেজা সাগর, আফজাল হোসেন এবং আমি বেঁচে আছি। আমাদের তিনজনের সঙ্গে কথা বলে জনাব কাদের সিদ্দিকী বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে পারেন। আর যেসব বিখ্যাত ব্যক্তির সূত্রে জনাব সিদ্দিকী আমার অর্থ আত্মসাৎ করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তা অসত্য ও নিন্দনীয়। সেসব বিখ্যাত ব্যক্তির পরিচয় দিলে আমি তাঁদের সত্য জানানোর চেষ্টা করব।

অসচ্ছল ও অসুস্থ শিল্পীদের জন্য গচ্ছিত অর্থে পাঁচ তারকা হেটেলে বিনোদন করার মতো রুচিহীন মানুষ আমি নই এটা নিশ্চয়ই পাঠকের জানা।

২. আমি ধনীর সন্তান নই। আমার পিতা ব্রিটিশ আমলের সিভিল সার্ভেন্ট (১৯৩০-এর বিসিএস)। সততা তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র ছিল। বাবা ১৯৫৯ সালে অবসরে যান এবং ১৯৮০ সালে ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যু অবধি আমাদের পরিবারের কোনো গাড়ি ছিল না। আমি কখনো কোনো দিন গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং এখনো নই। ১৯৮৯ সালে করোলা করপোরেশন (একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি)-এ কর্মরত অবস্থায় কোম্পানি আমাকে একটি মাইক্রোবাস ব্যবহারের জন্য কিনে দেয়। যেটি আমার জীবনে প্রথম ব্যক্তিগত ব্যবহারের নিমিত্ত বাহন। আর আমার জন্য প্রথম ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি কেনা হয় ১৯৮৯ সালে। আমি ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত চাকরিজীবী এবং কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হন ১৯৮১ সালে। তাই জিয়ার সমর্থনে গাড়ির ব্যবসা বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তা ছাড়া এই আমি কোনো দিন কখনো কোনো প্রকার গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই, সেই আমি কী করে গাড়ির ব্যবসা বাগিয়ে নিয়েছিলাম! বুঝতে পারছি না। আমি জনাব কাদের সিদ্দিকীকে অনুরোধ করব আমার নামে অপবাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমি আমার দেয় তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে প্রমাণাদি ওপরে উল্লেখ করেছি অনুগ্রহ করে জনাব সিদ্দিকী সত্য-মিথ্যা যাচাই করুন ও সন্দেহমুক্ত হোন।

ধন্যবাদান্তে

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

বিতর্ক এড়াতে পক্ষে-বিপক্ষের এ-সংক্রান্ত আর কোনো লেখা খোলা কলামে ছাপা হবে না।- বি. স.

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর