শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার

হেলাফেলার অবকাশ নেই

দুনিয়াজুড়ে কভিড-১৯ মোকাবিলার দুটি দিক রয়েছে। এর একটি হলো এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করা। অন্যটি হলো অর্থনীতির জন্য এ মহামারী যে হুমকি সৃষ্টি করেছে তা এড়িয়ে চলা। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর প্রথম থাবায় দুনিয়াজুড়ে প্রতিটি দেশের অর্থনীতি সংকটাবস্থায় পড়েছে। প্রতিটি দেশ সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কঠিন সংগ্রাম চালাচ্ছে। কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় স্রোত যখন দুনিয়াজুড়ে মানুষের ঘাড়ে বিষ নিঃশ্বাস ফেলছে তখন ভয়াবহ ভাইরাসের থাবা ঠেকানোর পাশাপাশি প্রথম স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সব জাতিকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে হতাশার মধ্যে আশার কথা হলো বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও চালু আছে এই দুঃসময়ে। সে কারণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্বব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশই এগিয়ে। যদিও করোনার কারণে দেশে কর্মসংস্থান, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার যেসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় তাদের অর্থনীতিতে মন্দাভাব এখনো বিদ্যমান। দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তারা আবারও লকডাউনে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতিও কিছুটা শ্লথ। সোজা কথায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ মনে হলেও আশঙ্কা থেকে রেহাই পাওয়ার অবকাশ নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি সবল থাকবে না দুর্বল হয়ে পড়বে, তা বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক দেশগুলোর ওপরও অনেকাংশে নির্ভরশীল। সে বিষয়টি মনে রেখে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত পথ অনুসরণের পাশাপাশি অপচয় বন্ধের পথ খুঁজতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলাফেলার অবকাশ থাকা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর