শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক

প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদান করুন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যেসব পেশার লোক সর্বাধিক সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছে তার মধ্যে সামনের কাতারে রয়েছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১১৩ জন চিকিৎসক ঘাতক ভাইরাসে প্রাণ হারালেন। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ নামের ভয়াল ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়েই বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক আক্রান্ত হন এবং তাদের অনেকে প্রাণ হারান। আক্রান্ত ও প্রাণ হারানো নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো সরকারি কর্মকর্তা মারা গেলে ২৫-৫০ লাখ টাকা পাবেন। আর আক্রান্ত হলে পাবেন ৫-১০ লাখ টাকা। মাঠপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ যে কেউ সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে গ্রেডভেদে এ টাকা পাবেন। গ্রেডভেদে ক্ষতিপূরণ উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, প্রথম-নবম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ, মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে ৭ লাখ, মারা গেলে পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। ১৫-২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ৫ লাখ আর মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ২০১৫-এর বেতন স্কেল অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ অর্থ দেওয়া হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা করোনাসংক্রান্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণ খাত থেকে। কিন্তু এ যাবৎ মাত্র একজন চিকিৎসকের জন্য তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। করোনায় প্রাণ হারানো ডা. মঈনউদ্দিনের পরিবার ছাড়া অন্যদের পরিবার শুধু স্বজন হারানো নয়, আর্থিক কষ্টেরও শিকার হচ্ছে। অথচ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ২০১৯-২০ সালের বাজেটে ৫০০ কোটি ও ২০২০-২১ সালের বাজেটে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। স্মর্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে চিকিৎসকদের মনোবল বাড়াতে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কিংবা মারা গেলে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেন। অথচ তা বাস্তবায়নে যে ধীরে চল নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এ দুর্ভাগ্যের অবসান হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর